### ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হার্ট ডিজিজ এর হাত থেকে রক্ষা করবে!?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর এতগুলো উপকারের কথা শুনলে মনে হয় বিশ্বের সবচেয়ে ম্যাজিক্যাল ডায়েট হবে এটা। এটা তো শুধু ওজন কমাতে সাহায্য করে না, আরও কত কি বিষয়ে সাহায্য করে জানো। যেমন- স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, শরীরের প্রদাহ কমায়, স্মৃতি শক্তি বাড়ায়। এমন কি ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
চলো জেনে নিই, কিভাবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হার্ট ডিজিজের হাত থেকে রক্ষা করে-
1. ইনসুলিনঃ ফাস্টিং করার ফলে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায়। ইনসুলিন হরমোন শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিনের মাত্রা বেশী থাকলে শরীরে প্রদাহ বাড়ে এবং হার্ট ডিজিজের রিস্ক বাড়ে। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ফলে ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
2. কোলেস্টেরলঃ ফাস্টিং করার ফলে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়। ভালো কোলেস্টেরল হার্টকে রক্ষা করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল হার্টে প্লাক জমিয়ে হার্ট ডিজিজের রিস্ক বাড়ায়। ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং এর ফলে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে যায়।
3. ট্রাইগ্লিসারাইডঃ ট্রাইগ্লিসারাইড এক ধরনের ফ্যাট যা শরীরে স্টোর হয়। বেশী ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা হার্ট ডিজিজের রিস্ক বাড়ায়। ফাস্টিং করার ফলে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমে যায়।
4. রক্তচাপঃ ফাস্টিং করার ফলে রক্তচাপ কমে যায়। বেশী রক্তচাপ হার্ট ডিজিজের অন্যতম প্রধান কারণ। ফাস্টিং এর ফলে রক্তচাপ কমে যায় এবং হার্টের উপর চাপ কমে।
5. প্রদাহঃ ফাস্টিং করার ফলে শরীরের প্রদাহ কমে যায়। প্রদাহ হার্ট ডিজিজের অন্যতম প্রধান কারণ। ফাস্টিং এর ফলে শরীরের প্রদাহ কমে যায় এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
তাই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়মিত করলে হার্ট ডিজিজ এবং স্ট্রোকের রিস্ক কমে। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং শুরু করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে কথা বলা উচিত।
তোমার কাছে কি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নিয়ে আরও কোনো প্রশ্ন আছে?
কমেন্টে জানাও।