লাল সিং চাড্ডা দেখার পর যে গ্লানি হয়েছিল, সেটা কেটে গেল আমার ইন্ডিয়ান 2 release হওয়ার পরে। অন্তত মন খারাপটা দূর হলো। শানকারের এই ইন্ডিয়ান 2 দেখে, আমার মনে পড়ে গেল সেই প্রথম ইন্ডিয়ান ছবিটা। কমল হাসানের অভিনয়, শুভাশ্রী চরিত্র। সব মিলিয়েই একটা আলাদা জায়গা করে নিয়েছিল। সিকুয়েল বানানোটা একটা ঝুঁকির ব্যাপার। অনেক সময়েই দেখা যায় দর্শকের আশা পূরণ করা যায় না। ইন্ডিয়ান 2 কিন্তু সেই ধারণা ভেঙে দিয়েছে। শুধুমাত্র একটা সিকুয়েল হিসেবেই একে অ্যাপ্রিশিয়েট করা যায় না। এটা একটা আলাদা ছবি যার নিজস্ব একটা জায়গা আছে।
ছবির কাহিনীর একটা অংশ প্রথম ছবিতেও দেখানো হয়েছিল। তবে এই ছবিতে সেগুলোর উপরই জোর দেওয়া হয়েছে। সাথে যোগ হয়েছে আরও অনেক নতুন ট্র্যাক, নতুন চরিত্র। কমল হাসানের পাশাপাশি কাজলও এখানে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে। এছাড়াও আছেন রাকুমার রাও, সিদ্ধার্থ এবং প্রিয়া ভানী। প্রত্যেকেই নিজের চরিত্রগুলোকে খুবই সুন্দর ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলেছেন। কিন্তু সবথেকে বেশী যেটা আমার পছন্দ হয়েছে সেটা হলো অ্যাকশন। এই বয়সে এসেও কমলজি যে এত সুন্দর ভাবে অ্যাকশন করতে পারেন, সেটা ভাবাও যায় না। মারধর, শুটিং, সব কিছুই অসাধারণ। তবে আমার মতে, আগের ছবির অ্যাকশনের চেয়ে এই ছবির অ্যাকশন আরও জমিয়ে হয়েছে। ছবির গভীরতাও অনেক বেশী। তাই অ্যাকশন এবং গভীরতার কম্বিনেশনে এই ছবি দর্শকদের মন জয় করবে বলে আমি আশা করি।
সব মিলিয়ে, ইন্ডিয়ান 2 একটা অসাধারণ ছবি হয়েছে। ছবির গল্প, অভিনয়, সঙ্গীত, সিনেমাটোগ্রাফি সব কিছুই অসাধারণ। আমি এই ছবিটাকে 5 এ 4.5 রেটিং দিব। কমল হাসানের ফ্যানদের জন্য তো এটা একটা মাস্ট ওয়াচ। তবে এর বাইরেও সবাই এই ছবিটা দেখতে পারেন। নিরাশ হবেন না।