ইন্দোনেশিয়ায় ফ্লাশ বন্যা




ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভাতে তীব্র বৃষ্টিপাতের কারণে মারাত্মক ফ্লাশ বন্যায় কমপক্ষে ৪ জন মারা গেছে এবং প্রায় ১,০০০ জন বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রদেশের গভর্নর রিদওয়ান কামিল বলেছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাটি ছিল বান্দুং শহরের দক্ষিণে সিয়ানজুর।

ফ্লাশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, স্কুল এবং রাস্তাঘাট। বেশ কয়েকটি সেতুও ধ্বংস হয়ে গেছে।

"আমি সবকিছু হারিয়েছি"

সিয়ানজুরের বাসিন্দা আদিত্য সোফিয়ান বলেছেন, "আমি সবকিছু হারিয়েছি। আমার ঘর, আমার গাড়ি, সবকিছু।"

"আমি ও আমার পরিবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, কিছুই নেই।"<\p>

ইন্দোনেশিয়ার রেড ক্রস জানিয়েছে, তারা বন্যার্তদের খাবার, পানি এবং আশ্রয় দিচ্ছে।

গভর্নর কামিল বলেছেন, সরকারও বন্যার্তদের সহায়তা দিচ্ছে।

"আমরা বন্যার্তদের পুনর্বাসন করতে যথাসাধ্য সবকিছু করছি।"<\p>

ফ্লাশ বন্যাটি ঘটেছে বৃষ্টিময় মৌসুমের শুরুতে। পশ্চিম জাভায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সাধারণত এই সময়েই বেশি থাকে।

তবে, ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, এই বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেশি ছিল।

আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, আগামী কয়েক দিনেও পশ্চিম জাভায় বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

বন্যা থেকে রক্ষা पाওয়ার উপায়
  • বন্যার পূর্বাভাস থাকলে নিরাপদ জায়গায় চলে যান।
  • বন্যার পানিতে প্রবেশ করবেন না।
  • যদি আপনি বন্যার পানিতে আটকা পড়েন তবে উচ্চ জায়গায় যান।
  • বন্যার সময় বিদ্যুৎ ব্যবহার করবেন না।
  • বন্যার পরে পানি দূষিত হয়, তাই সেই পানি পান করবেন না।

ফ্লাশ বন্যা একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে। এই টিপস অনুসরণ করে আপনি নিজেকে এবং আপনার পরিবারকে বন্যা থেকে রক্ষা করতে পারেন।