ইন্দো-বি নেপ-বির লড়াই: জয়ের খুব কাছের পথেও হার!




ভাই, আর মাত্র কয়েক মিনিট। কিছুক্ষণ পরই ইন্ডিয়া এই খেলাটা জিতে ফেলবে। আমি এতোটাই নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম না যে এই জয়ী নেপাল মেয়েরা কতটা দৃঢ়চিত্ত।
প্রথমার্ধের গল্প
প্রথমার্ধে ভারতীয়ারাই দাপট দেখিয়েছিলেন। স্কোরলাইন ছিল 3-0। এতো সহজে নেপালকে জেতাচ্ছে দেখে আমি খুব উচ্ছ্বসিত হয়ে পড়েছিলাম। এতো বছর পর এই প্রথম কোন ইন্ডিয়ান টিম বিদেশের মাটিতে এত ভালো খেলছে। প্রথমার্ধেই 3টা গোল করা সত্যিই মনে হচ্ছিল একটা জাদু হয়েছে।
বিরতির পর
বিরতির পরে নেপালি মেয়েরা যেন শেয়ার রূপ নিয়ে ফেলেছে। তারা জোরালো আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে আর আমাদের মেয়েরা অনেকটা হিমশিম খাচ্ছিল তাদের আক্রমণকে সামলাতে। মনে হচ্ছিল যেন তারা হিমালয়ের মতো দৃঢ় আর আমাদের মেয়েরা মাত্র একদল সৈনিক।
শেষদিকের গোল
একের পর এক নেপাল গোল করে যাচ্ছিল। এই দিকে আমাদের মেয়েরা কোন গোলই করতে পারছিল না। ম্যাচের শেষ কিছু মিনিট বাকি আছে। তখন 4-3 এ নেপাল এগিয়ে। তারা তাদের ডিফেন্সকে মজবুত করে দিয়েছে। আর আমাদের মেয়েরা গোল করার জন্য হন্য হয়ে উঠেছে। তবে কোনো লাভ হচ্ছিল না।
শেষ মুহূর্তের ঘটনা
ম্যাচের শেষ মুহূর্তেও আমার মনে হচ্ছিল আমাদের মেয়েরাই জিতবে। তারা এতোটাই ভালো খেলছিল। কিন্তু নেপালিদের কাছে যেন ভাগ্য সহায় ছিল। শেষ মুহূর্তে একটা লম্বা বলের উপর মুহূর্তের জন্যও দৃষ্টি সরাননি নেপালি গোলকিপার। তিনি সেই বলটা হাতের মুঠোয় নিয়ে ফেলেছেন।
ভারতের পরাজয়
ম্যাচের শেষ হুইসেল বাজলো। নেপাল জিতে গেল। আমরা হেরে গেলাম। কিন্তু আমি আমাদের মেয়েদের উপর একটুও রাগ করতে পারছিলাম না। তারা তাদের সেরাটা দিয়েছে। কিন্তু দিনটা নেপালের ছিল। তারা প্রমাণ করেছে যে তারাও খুব ভালো খেলতে পারে।
ভবিষ্যতের জন্য আশা
এই হার আমাদের ভেঙে দিতে পারে। কিন্তু আমি জানি যে আমাদের মেয়েরা এই হারে ভেঙে পড়বে না। তারা আরও জোর দিয়ে অনুশীলন করবে এবং ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলবে। আমি তাদের প্রতি আশাবাদী।
আমাদের সমর্থন
আমাদের মেয়েদের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকতে হবে। তারা আমাদের গর্ব। তারা আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে। তারা আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তারা আমাদের শিখিয়েছে যে হার বা জয়ের চেয়ে লড়াই করাটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।