ইব্রাহিম রাইসি




ইরানের বর্তমান রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম রাইসি একজন বিচারপতি ও ধর্মতত্ত্ববিদ যিনি 2021 সালে নির্বাচিত হন। তিনি একটি রক্ষণশীল রাজনীতিবিদ যিনি মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সমালোচিত হয়েছেন।

মূল্যবোধ এবং বিশ্বাস

রাইসি একজন রক্ষণশীল মুসলিম এবং তিনি ইরানের আয়াতুল্লাহদের একজন বিশ্বস্ত সমর্থক। তিনি বিশ্বাস করেন যে দেশটি ইসলামী আইন দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত এবং তিনি সামাজিক রক্ষণশীল নীতিগুলির প্রবল সমর্থক।

রাইসি দুর্নীতির প্রবল সমালোচক এবং তিনি আর্থিক অপরাধের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির পক্ষে জোর দিয়েছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলেরও সমালোচক এবং তিনি তাদের দুই মুখী বলে অভিযুক্ত করেছেন।

রাইসি একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব এবং তিনি তার মানবাধিকার রেকর্ডের জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তিনি 1988 সালে হাজার হাজার রাজনৈতিক বন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার "মৃত্যু কমিটির" সদস্য ছিলেন বলে অভিযুক্ত হয়েছেন। রাইসি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন, তবে তার বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে।

  • 1988 সালে ইরানে ব্যাপকভাবে গণহত্যা ঘটেছিল, যার ফলে অনুমান করা হয়েছে ১০,০০০ এরও বেশি রাজনৈতিক বন্দীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
  • হত্যাকাণ্ডের পর, রাইসি এই কারাগারগুলির মধ্যে একটির চার সদস্যের "মৃত্যু কমিটির" সদস্য ছিলেন।
  • এই কমিটি বন্দীদের বিচার করার জন্য দায়ী ছিল এবং তাদের মৃত্যুদণ্ড দিতে সুপারিশ করার জন্য দায়ী ছিল কিনা তা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
রাজনৈতিক কর্মজীবন

রাইসি 2014 সাল থেকে ইরানের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই ভূমিকায়, তিনি আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর পছন্দের উত্তরাধিকারী হিসেবে বিবেচিত হন।

2021 সালে রাইসি ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। নির্বাচন ব্যাপকভাবে কারচুপির অভিযোগ ওঠে, এবং অনেক বিশ্লেষক বিশ্বাস করেন যে রাইসি নিরপেক্ষ ভোট পেলেও জয়লাভ করতেন না।

বিদেশ নীতি

রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাইসি ইরানকে বিচ্ছিন্নতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সে দেশের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসার পক্ষে জোর দিয়েছেন এবং তার পশ্চিমী শক্তিগুলির প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ করেছেন। তিনি সিরিয়ায় ইরানের সামরিক হস্তক্ষেপকেও ব্যাপক করেছেন।

রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাইসির মূল পররাষ্ট্র নীতি লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসা
  • ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব বৃদ্ধি
  • ইজরায়েল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমী শক্তির বিরোধিতা

রাষ্ট্রপতি হিসেবে রাইসির বিদেশ নীতি কঠোরভাবে সমালোচিত হয়েছে। তার বিরোধীরা যুক্তি দেখান যে তিনি ইরানকে বিচ্ছিন্ন করছেন এবং দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা বাড়িয়ে তুলছেন। তার সমর্থকরা যুক্তি দেখান যে তিনি ইরানের স্বার্থ রক্ষা করছেন এবং দেশকে স্বাধীন করে তুলছেন।

রাইসি একটি বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব এবং তিনি তার মানবাধিকার রেকর্ড এবং কট্টরপন্থী রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির জন্য সমালোচিত হয়েছেন। তিনি 2021 সালে ইরানের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এবং তখন থেকে তিনি দেশকে আরও রক্ষণশীল এবং বিচ্ছিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।