আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনের এক উজ্জ্বল তারকা ইমাদ ওয়াসিম। পাকিস্তান জাতীয় দলে তার অলরাউন্ড পারফরম্যান্স দলকে বহু বিজয় এনে দিয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাকে ক্রিকেট মাঠের বাইরে অন্য একটি ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। তিনি এখন একজন ধর্মপ্রচারক।
ওয়াসিম ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। অবসরের পর তিনি গুরুত্ব দেন ধর্মীয় অধ্যয়নে। তিনি একজন ইসলামি পণ্ডিতের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে ধর্মীয় বিষয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে ওঠেন।
ওয়াসিম বলেছেন যে, তার ধর্মপ্রচারে আসার পেছনে প্রেষণা এসেছে তার ব্যক্তিগত জীবন থেকে। ক্যারিয়ারে চোট এবং ব্যক্তিগত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তার মনে হয়েছে যে, ক্রিকেটই সব নয়। তিনি আরও গভীর অর্থ খুঁজেছেন জীবনে।
ধর্মপ্রচারক হিসেবে ওয়াসিম এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ধর্মীয় বক্তৃতা দেন। তিনি ইসলামের মূলনীতি, নৈতিকতা এবং আধ্যাত্মিকতার উপর আলোকপাত করেন। তার বক্তৃতাগুলো গভীর জ্ঞান এবং আন্তরিকতার জন্য প্রশংসিত হয়।
ওয়াসিমের ধর্মপ্রচারক হিসেবে ভূমিকা কিছু সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। কিছু লোক মনে করেন যে, একজন উচ্চ-প্রোফাইল ক্রিকেটারের জন্য ধর্মপ্রচার করা উচিত নয়। তারা বলেন, ওয়াসিমের উচিত ক্রিকেটের সঙ্গেই জড়িত থাকা।
তবে, ওয়াসিম তার সমালোচকদের উপেক্ষা করেছেন। তিনি বলেছেন যে, প্রত্যেকের নিজ নিজ পছন্দ-অপছন্দের অধিকার আছে। তিনি তার বিশ্বাসের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান।
ওয়াসিম ভবিষ্যতেও একজন ধর্মপ্রচারক হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন যে, তার লক্ষ্য মানুষকে ইসলামের সত্যিকারের শিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষিত করা। তিনি বিশ্বাস করেন যে, ধর্মটি শান্তি, ভালোবাসা এবং সহনশীলতার বার্তা প্রচার করে।
ইমাদ ওয়াসিমের কাহিনী হলো একজন ব্যক্তির বিবর্তনের একটি প্রমাণ। তিনি একজন সফল ক্রিকেটার থেকে একজন ধর্মপ্রচারকে পরিণত হয়েছেন। তার যাত্রা আমাদের সকলকে প্রশ্ন করতে শেখায় যে, জীবনের অর্থ কী এবং আমাদের সত্যিকারের উদ্দেশ্য কী।