ইরানের রাষ্ট্রপতি হলেন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সরকার ব্যবস্থার প্রধান। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়কও। রাষ্ট্রপতিকে প্রতি পাঁচ বছরে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত করা হয়।
রাষ্ট্রপতির কর্তব্যইরানের সংবিধান রাষ্ট্রপতির জন্য নির্দিষ্ট দায়িত্ব নির্ধারণ করে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে:
রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার এবং মৃত্যুদণ্ডের আদেশাদেশ স্থগিত করার ক্ষমতাও রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনইরানের রাষ্ট্রপতিকে প্রতি পাঁচ বছরে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনটি একটি দুই-রাউন্ড সিস্টেমে অনুষ্ঠিত হয়। যদি কোনো প্রার্থী প্রথম রাউন্ডে 50% ভোট না পান, তবে দুই সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থী দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য প্রার্থীদের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস বা গার্ডিয়ান কাউন্সিলের মাধ্যমে যাচাই করানো উচিত। গার্ডিয়ান কাউন্সিল একটি বারো সদস্যের পরিষদ যা রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তদারকি করে এবং নির্ধারণ করে যে প্রার্থীরা নির্বাচন করার যোগ্যতা রাখে।
ইতিহাসইরানের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবুলহাসান বানিসাদর। তিনি ১৯৮০ সালে নির্বাচিত হন এবং ১৯৮১ সালে পদত্যাগ করেন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি হলেন ইব্রাহিম রাইসি, যিনি ২০২১ সালে নির্বাচিত হন।
ইরানের রাষ্ট্রপতির পদটি বেশিরভাগ সময় শক্তিশালী হয়েছে। তবে, সর্বোচ্চ নেতা সর্বদা সরকারের সবচেয়ে শক্তিশালী ব্যক্তি হয়ে আছেন। সর্বোচ্চ নেতা সশস্ত্র বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করেন এবং আইন সংশোধন করতে পারেন।
বর্তমান রাষ্ট্রপতিইব্রাহিম রাইসি ২০২১ সাল থেকে ইরানের রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি গার্ডিয়ান কাউন্সিলের সাবেক প্রধান এবং আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ঘনিষ্ঠ।
রাষ্ট্রপতি হিসাবে রাইসির প্রধান লক্ষ্য হল দেশের অর্থনীতি উন্নয়ন এবং দুর্নীতি নির্মূল করা। তিনি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কের বিষয়েও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন।
ভবিষ্যৎইরানের রাষ্ট্রপতির ভূমিকা আগামী বছরগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ হওয়া অব্যাহত থাকবে। দেশটি অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, এবং রাষ্ট্রপতির ভূমিকা দেশের ভবিষ্যত গড়ে তোলায় গুরুত্বপূর্ণ হবে।