এই দুটি দেশের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই উত্তেজনাপূর্ণ এবং সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করেছে।
ইরানের পরমাণু কর্মসূচিইরানের পরমাণু কর্মসূচি হল উত্তেজনার প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি। ইসরায়েল বিশ্বাস করে যে ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে, যা অঞ্চলের জন্য একটি বড় হুমকি হবে।
অন্যদিকে, ইরান দাবি করে যে তার পরমাণু কর্মসূচি কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে, আইএইএ-র রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ইরান আগে পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করেছিল।
ইসরায়েলের হামলাইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য ইসরায়েল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানি স্থানে বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে।
এই হামলাগুলি ইরানের রোষানল জ্বালিয়েছে এবং দেশটি প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে।
সিরিয়া যুদ্ধসিরিয়া যুদ্ধ ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। ইরান সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদের প্রধান সমর্থক, যখন ইসরায়েল বিদ্রোহীদের সমর্থন করছে।
যুদ্ধ আরও বেশি জটিল হয়েছে ইসলামিক স্টেট এবং অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর উত্থানের কারণে।
আঞ্চলিক উত্তেজনাইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়েছে। সৌদি আরবের মতো ইরানের প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই উত্তেজনা কাজে লাগিয়ে ইরানের প্রভাবকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।
পরিস্থিতির সমাধানইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা কমানো একটি চ্যালেঞ্জিং কাজ।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে একটি সমঝোতায় পৌঁছানো। ইরানকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করতে হবে যে তার কর্মসূচি কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ইসরায়েলেরও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আরও একটি গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা উচিত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে, উভয় পক্ষকেই সংলাপে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং সমঝোতার জন্য কাজ করতে হবে।
শেষ কথাইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি বড় হুমকি।
সংঘাত নিরসনের জন্য উভয় পক্ষেরই দায়িত্ব নেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।