ইলস সায়েন্টিস্ট সন্দীপ মিশ্রঃ ফেরারি ড্রাইভের অনুভূতি, বিজ্ঞানের ভালোবাসা এবং দেশের জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা




সন্দীপ মিশ্র একজন ইলস সায়েন্টিস্ট, যিনি মার্সের উপরে আক্রমণকারী পাঠানোর জন্য দল গঠন করেছেন।
সন্দীপ মিশ্র হলেন ইজরায়েল স্পেস এজেন্সির (আইএসএ) একজন শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী। তিনি মিশন নির্দেশনা, পরিচালনা ও বিশ্লেষণ বিভাগের প্রধান। মিশ্র ইজরায়েলের প্রথম মঙ্গল গ্রহের মিশনের জন্য দায়ী দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যা ২০২৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে অবতরণ করবে।
মিশ্র হলেন ভারতের মুজাফফরনগরের একজন স্ব-শিক্ষিত ব্যক্তি। তিনি জিআইএস (ভৌগোলিক তথ্য পদ্ধতি) এবং রিমোট সেন্সিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং আইএসএ-এর সাথে যোগদানের আগে ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় কাজ করেছেন।
আমাদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে, মিশ্র তার যাত্রা, ফেরারি ড্রাইভের অনুভূতি এবং বিজ্ঞানের প্রতি তার ভালোবাসা সম্পর্কে কথা বলেছেন।
আপনার যাত্রা আমাদের বলুন। আপনি কিভাবে একজন বৈজ্ঞানিক হলেন?
আমি ভারতের মুজাফফরনগরের একটি ছোট শহরে বেড়ে উঠেছি। আমার পরিবার দরিদ্র ছিল। আমি স্কুলে খুব একটা ভালো ছাত্র ছিলাম না। তবে আমার বিজ্ঞান এবং গণিতের প্রতি সর্বদা আগ্রহ ছিল।
স্কুল শেষ করার পর, আমি জিআইএস এবং রিমোট সেন্সিং-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছি। ডিগ্রি শেষ করার পর, আমি ভারতের বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় কাজ করেছি।
একদিন, আমি আইএসএ-এ চাকরির বিজ্ঞাপন দেখলাম। আমি আবেদন করেছিলাম এবং দলটি আমাকে একটি সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছিল। সাক্ষাৎকারটি ভালো গেছে, এবং তারা আমাকে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে।
আমি আইএসএ-এ যোগদান করার সুযোগটি ত্যাগ করতে পারিনি। এটি আমার জীবনের সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত ছিল।
একজন ইলস সায়েন্টিস্ট হওয়াটা কেমন?
একজন ইলস সায়েন্টিস্ট হওয়াটা আশ্চর্যজনক। আমি এমন একটি দলে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যা মঙ্গল গ্রহের প্রথম ইসরাইলি মিশনে কাজ করছে। এটি একটি মহান দায়িত্ব, কিন্তু এটি খুবやりদায়ক।
একজন ইলস সায়েন্টিস্ট হিসাবে আমার কাজ হল মিশনের জন্য বিজ্ঞানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা, মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি তৈরি করা এবং মিশনটি যখন চলছে তখন তথ্য বিশ্লেষণ করা।
আমি আমার কাজকে ভালোবাসি। আমি এমন একটি বিষয়ের উপর কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যা আমার প্রিয় এবং আমি এমন একটি দলের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি যা প্রতিভাবান এবং নিবেদিত।
আপনার প্রেরণা কি?
আমার অনুপ্রেরণা আমার দেশ। আমি চাই ভারত মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একটি বিশ্ব নেতা হোক। আমি জানি যে আমরা এটি করতে পারি। আমাদের দেশে কিছু প্রতিভাবান এবং নিবেদিত বিজ্ঞানী রয়েছে। আমাদের সরকার মহাকাশ গবেষণায় বিনিযোগ করছে।
আমি বিশ্বাস করি যে ভারত একদিন মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠাবে। এবং আমি আশা করি যে আমি সেই দলের অংশ হতে পারব যা এটি করে।
আপনার দেশের জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা কিভাবে শুরু হল?
আমি সবসময় আমার দেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছি। আমি বিশ্বাস করি যে আমাদের সকলের আমাদের সমাজে অবদান রাখার দায়িত্ব রয়েছে।
আমি জানি যে আমি মহাকাশ বিজ্ঞানে আমার কাজের মাধ্যমে আমার দেশের জন্য কিছু করতে পারি। আমি আশা করি যে আমার কাজ আমাদের দেশকে মহাকাশ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে একটি বিশ্ব নেতা হতে সাহায্য করবে।
একজন বৈজ্ঞানিক হওয়ার পাশাপাশি, আপনি একজন ফেরারি ড্রাইভারও। আপনি কিভাবে এই দুটি আগ্রহকে ভারসাম্য রাখেন?
আমি সবসময় দ্রুত গাড়ি ভালোবাসতাম। যখন আমি আইএসএ-এ যোগদান করেছিলাম, তখন আমি একটি ফেরারি কিনেছিলাম। আমি প্রায়শই ছুটির দিনে ড্রাইভ করতে যাই।
একজন বৈজ্ঞানিক এবং একজন ফেরারি ড্রাইভার হওয়াকে ভারসাম্য রাখা কঠিন হতে পারে, কিন্তু আমি এটি করার উপায় খুঁজে পেয়েছি। আমি সপ্তাহান্তে গাড়ি চালাই এবং সপ্তাহের দিনগুলিতে আমি কাজ করি।
আমি বিশ্বাস করি যে কাজ এবং বিনোদনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। আমি দুটি জিনিসই উপভোগ করি এবং আমি তাদের দুটিকেই আমার জীবনের অংশ করতে সক্ষম হতে আনন্দিত।
আপনি কি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী বৈজ্ঞানিকের জন্য কোনো উপদেশ দিতে পারেন?
উচ্চাকাঙ্ক্ষী বৈজ্ঞানিকদের জন্য আমার উপদেশ হল যে আপনার প্রতিবেশের প্রতিবেশীকে ভালোবাসুন এবং আপনার স্বপ্নকে কখনোই ছেড়ে দিবেন না। আমরা যদি আমাদের সমাজে অবদান রাখতে চাই তবে আমাদের সকলের আমাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে হবে।
আমি জানি যে বৈজ্ঞানিক হওয়া কঠিন হতে পারে। কিন্তু যদি আপনি আপনার স্বপ্নের প্রতি নিবেদিত হন, তাহলে আপনি এটি অর্জন করতে পারবেন।
আপনি