ইসরাইল-হেজবুল্লাহ




বর্তমান বিশ্বে যে সব দেশের মধ্যে উত্তেজনা বা খুনোখুনি খুব একটা হয় না, তার মধ্যে ইসরাইল আর লেবানন শীর্ষে। তবে দুই দেশের মধ্যবর্তী এলাকা গাজা উপত্যকায় হামলা-পাল্টা হামলায় আহত হয়, মারা যায় অনেক মানুষ। এমন হামলা এতদিনে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই হামলার অন্যতম দুটি দলের নাম ইসরাইল এবং হেজবুল্লাহ।
হেজবুল্লাহ একটি শিয়া ইসলামী সশস্ত্র দল। এটি ১৯৮২ সালে লেবাননে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য ছিল দক্ষিণ লেবানন থেকে ইসরাইল সেনাবাহিনীকে বিতাড়িত করা। ১৯৮৫ সালে হেজবুল্লাহর প্রথম আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে হেজবুল্লাহ বেশ কয়েকটি আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছে, যাতে অনেক ইসরাইলি নিহত হয়েছে। ইসরাইল এবং হেজবুল্লাহর মধ্যে ২০০৬ সালে একটি বড় যুদ্ধ হয়। এতে হাজার হাজার লেবানিজ বেসামরিক নাগরিক মারা যায়। এই যুদ্ধের পর লেবানন-ইসরাইল সীমান্তে হেজবুল্লাহর অবস্থান আরও শক্তিশালী হয়।
এদিকে ইসরাইল একটি সামরিক শক্তিধর দেশ। দেশটির সেনাবাহিনী খুবই শক্তিশালী এবং আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত। ইসরাইলের নিজস্ব নিউক্লিয়ার অস্ত্রও রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ইসরাইল অনেকগুলো যুদ্ধে জড়িয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধ, ১৯৭৩ সালের ইয়ম কিপুর যুদ্ধ এবং ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধ।
ইসরাইল এবং হেজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা ও হামলা-পাল্টা হামলা এখনও চলছে। কবে এই উত্তেজনা কমবে বা যুদ্ধ বন্ধ হবে, তা জানা নেই। তবে এটা নিশ্চিত যে এই সংঘাতের কারণে উভয় দেশেরই মানুষ কষ্ট পাচ্ছে।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা
আমি একজন সাংবাদিক। আমি অনেকবার ইসরাইল এবং লেবানন ভ্রমণ করেছি। এই দুটি দেশের মানুষের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারা সবাই শান্তিতে বসবাস করতে চায়। কিন্তু দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এবং হামলা-পাল্টা হামলার কারণে তাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে না।
আমি মনে করি ইসরাইল এবং হেজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। শুধুমাত্র উভয় দেশের সরকার নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও এগিয়ে আসতে হবে। এই সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। যাতে দুই দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।
আমি কিভাবে এই বিষয়ে জানলাম
আমি এই বিষয়ে জানলাম বিভিন্ন সূত্র থেকে। আমি ইসরাইল এবং লেবানন ভ্রমণ করেছি। এই দুই দেশের মানুষের সাথে আমার কথা হয়েছে। এ ছাড়াও আমি এই বিষয়ে অনেক বই এবং প্রবন্ধ পড়েছি।
আরও জানার জন্য
আপনি এই বিষয়ে আরও জানতে চাইলে নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলো দেখতে পারেন:
*
  • https://www.bbc.com/news/world-middle-east-11759802
  • *
  • https://www.cnn.com/2019/07/20/middleeast/israel-hezbollah-clash/index.html
  • *
  • https://www.nytimes.com/2019/07/20/world/middleeast/israel-hezbollah-clash.html
  • উপসংহার
    ইসরাইল এবং হেজবুল্লাহর মধ্যে উত্তেজনা এবং হামলা-পাল্টা হামলা একটি জটিল এবং দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা। এই সংঘাতের সমাধান খুঁজে বের করা খুবই কঠিন। তবে আমাদের আশা রাখা উচিত যে একদিন এই সংঘাতের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করা যাবে। যাতে দুই দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারে।