ঈদ-উল-আযহা একটি পবিত্র উৎসব যা মুসলিম সারা বিশ্বে পালন করে। এই উৎসবটি ত্যাগ ও আত্মত্যাগের গুরুত্বের স্মরণে পালিত হয়।
ঈদ-উল-আযহার ইতিহাস হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রতি আল্লাহর (সঃ) পরীক্ষার ঘটনা থেকে শুরু হয়েছে। ইব্রাহীমের সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ ছিল তার পুত্র ইসমাইল (আঃ)। একদিন, আল্লাহ তাকে ইসমাইলকে বলি দিতে আদেশ দেন।
ইব্রাহীম (আঃ) ছিলেন একজন বিশ্বস্ত বান্দা, এবং তিনি আল্লাহর আদেশের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুগত ছিলেন। তিনি ইসমাইলকে নিয়ে মিনায় গেলেন এবং তাকে বলি দেওয়ার জন্য তৈরি হলেন।
ঠিক যখনই ইব্রাহীম (আঃ) তার পুত্রকে বলি দিতে যাচ্ছিলেন, আল্লাহ তাকে একটি ভেড়া দিয়ে প্রতিস্থাপন করলেন। এভাবে, ইব্রাহীমের (আঃ) ত্যাগ এবং আত্মত্যাগের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করেছেন।
ঈদ-উল-আযহা এই ঘটনার স্মরণে পালিত হয়। এই দিনে, মুসলিমরা ত্যাগ এবং আত্মত্যাগের গুরুত্বের স্মরণে পশু বলি দেন।
ঈদ-উল-আযহা একটি সুখ এবং উদযাপনের দিন। মুসলিমরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে সময় কাটায়, বিশেষ খাবার খায় এবং আল্লাহর কাছে তাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
ঈদ-উল-আযহা সারা বিশ্বের মুসলিমদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনে, তারা ত্যাগ, আত্মত্যাগ এবং আল্লাহর (সঃ) প্রতি আনুগত্যের গুরুত্বের স্মরণ করেন।
আমি সকল মুসলিম ভাই-বোনদের ঈদ-উল-আযহার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।