আগের রাতে শুরু হয় ঈদের প্রস্তুতি। ঘরবাড়ি পরিষ্কার করা, নতুন জামাকাপড় কেনা, সেলাই করা, পিঠা-পুলি তৈরি করা—সারা রাত ঘরজুড়ে চলে এইসব কর্মকাণ্ড। আর আমরা ছেলেমেয়েরা তখন জানালার কাছে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করি, কখন ফজরের আজান শুনতে পাবো।
ফজর হলেই শুরু হয়ে যায় ঈদের আনুষ্ঠানিকতা। হাতেমুখ ধুয়ে পরে নতুন জামা, আর তারপর মসজিদে যাওয়ার পালা। মসজিদে যাওয়ার পথেও যে কি ভিড়! সবাই সাজসজ্জা করে একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। মসজিদে এসে জামায়াতের সালাত আদায়ের পর সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরে ঈদ মোবারক বলে।
সালাত শেষ করে ঘরে ফিরে সবাই একসাথে নাস্তা করে। এরপর শুরু হয় ঈদের আনন্দ। খাওয়া-দাওয়া, গল্পগুজব, গানবাজনা—সারাদিন চলে মেতে উঠার আয়োজন। বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনের সাথে দেখা করতে যাওয়া, উপহার দেওয়া, নেওয়া—এসব নিয়েই কেটে যায় সারাদিন।
ঈদের দ্বিতীয় দিনেও আনন্দ-উৎসবের ঘাটতি হয় না। এদিন সাধারণত মানুষ পিকনিকে যায়। আমাদের ছোটবেলায় আমরা গ্রামের পাশের মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করতাম, চড়াই উড়াতাম। সব মিলিয়ে ঈদের এই দু'দিন পুরোটাই আনন্দে কেটে যেত।
সেসব স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়লে মনটা আনন্দে ভরে ওঠে। এখন আর সেই ছোটবেলার মতো ঈদ করা হয় না। কেউ কেউ বিদেশে থাকায়, আবার কেউ ব্যস্ততার কারণে। তবুও, ঈদের আনন্দ আজও অটুট আছে। এটা এমন এক উৎসব, যেটা সবাইকে একসাথে আনে।
আসুন, এই ঈদে আমরা সবাই একসাথে আনন্দ করি, মেতে উঠি। সব দুঃখ-কষ্ট ভুলে, একে অপরকে আদর করি। ঈদের শুভেচ্ছা জানিই, সবাইকে। ঈদ মোবারক!