উদ্দবের কনিষ্ঠরাজকুমার: আদিত্য ঠাকরে




যখনই শিবসেনার কথা উঠে, সেখানে প্রথমেই একটা নাম মনে পড়ে, ঠাকরে! এই ঠাকরে নামটির সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে আছে বালাসাহেব ঠাকরে নামটি। এই বালাসাহেব এবং তার স্ত্রী মীনার জ্যেষ্ঠ পুত্র হলেন উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধব ঠাকরেরই কনিষ্ঠ সন্তান
আদিত্য ঠাকরে

আদিত্য ঠাকরের জন্ম ও শিক্ষাজীবন

  • 13 জুন, 1990: আদিত্য ঠাকরের জন্ম মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে।
  • বম্বে স্কটিশ স্কুল, মাহিম থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন।
  • K. C কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন আদিত্য।
  • পরে মুম্বাইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
রাজনৈতিক জীবন

  • 2008: বিজেপি রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে পিতা উদ্ধব ঠাকরের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয় হন।
  • 2009: মাত্র 19 বছর বয়সে শিবসেনা যুব শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।
  • 2010: মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্মসমিতির সদস্য নির্বাচিত হন।
  • 2014: মুম্বাই ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
  • 2019: মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মুম্বাইয়ের ওয়ার্লী নির্বাচনী এলাকা থেকে বিজয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন।
মন্ত্রিত্ব

  • 2019: মহারাষ্ট্র সরকারে পর্যটন এবং পরিবেশ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।
  • 2020: উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বও অতিরিক্তভাবে দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক দর্শন

আদিত্য ঠাকরে একজন মধ্যপন্থী রাজনীতিবিদ। তিনি হিন্দুত্বের সমর্থক হলেও, তিনি সামাজিক সম্প্রীতি এবং ধর্মীয় সহনশীলতার পক্ষে কথা বলেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, শিবসেনার মূলনীতিগুলি প্রাসঙ্গিক এবং বর্তমানেও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য।
আদিত্য ঠাকরের ভবিষ্যৎ

আদিত্য ঠাকরে শিবসেনার উদীয়মান তারকা হিসেবে বিবেচিত হন। তিনি দলের ভবিষ্যৎ নেতা হিসেবে দেখা হয়। তাঁর যুবক ও উৎসাহী রাজনৈতিক ভাবনাকে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের কল্যাণের প্রতি আন্তরিকতার সাথে যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে, রাজনীতিকে জনগণের দিন-দিনের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস, তিনি শিবসেনার উত্তরাধিকারকে ভালোভাবে বহন করতে সক্ষম হবেন এবং মহারাষ্ট্র এবং ভারতকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।