আমি জানি, তোমারও হয়তো এখানে এসেছো এই আশায় যে, এমন কিছু উপায় আছে যেগুলোর অনুসরণ করে তুমি তোমার বিরক্তিকর অ্যালার্জি থেকে মুক্তি পেতে পারবে। দুঃখিত, আমার কাছে তোমার জন্য কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই। কিন্তু, এমন কিছু কৌশল রয়েছে যেগুলো অনুসরণ করলে তোমার অ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে কিছুটা হলেও কম করা সম্ভব।
আমার নিজেরও অ্যালার্জি আছে, তাই আমি অ্যালার্জির যন্ত্রণা কেমন হয় তা ভালোভাবেই বুঝি। আমার চোয়ালে এতোটা চুলকানি হয় যে, মাঝে মাঝে আমার মনে হয় আমি আমার নিজের মুখই খেয়ে ফেলবো। আর আমার নাক থেকে সবসময় পানি গড়িয়ে পড়ে, যেনো আমাকে কেউ ঝরনার নিচে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।
তো, আমি কি করেছি? উপায় খুঁজেছি। এবং এখন, আমার অ্যালার্জি অনেক কম। আর আমার বিশ্বাস, তুমিও পারবে।
অ্যালার্জি হল এমন একটি অবস্থা যেখানে তোমার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা এমন কিছুর প্রতি অত্যধিক প্রতিক্রিয়া দেখায় যা আসলে ক্ষতিকারক নয়। এই ক্ষতিকারক নয় এমন জিনিসগুলোকে "অ্যালার্জেন" বলা হয়। যখন তোমার অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে আসে, তখন তোমার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা হিস্টামিন নামক একটি রাসায়নিক নিঃসরণ করে। এই হিস্টামিনই তোমার অ্যালার্জির লক্ষণগুলোর কারণ।
অ্যালার্জির অনেক ধরন আছে, যার মধ্যে কিছু সবচেয়ে সাধারণ ধরন হল:
অ্যালার্জির লক্ষণের মধ্যে রয়েছে:
তোমার অ্যালার্জিকে নির্ণয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তুমি এগুলোকে এড়িয়ে চলতে পারো এবং তোমার অ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারো। অ্যালার্জি নির্ণয় করার জন্য তোমার ডাক্তার তোমার চিকিৎসাগত ইতিহাস জিজ্ঞাসা করবেন এবং তোমাকে শারীরিক পরীক্ষা করবেন।
তোমার অ্যালার্জির কারণ সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য তোমার ডাক্তার একটি অ্যালার্জি ত্বকের পরীক্ষা করতে পারেন। এই পরীক্ষায় তোমার চামড়ার নীচে বিভিন্ন সম্ভাব্য অ্যালার্জেনের সামান্য পরিমাণ ইনজেকশন দেওয়া হয়। যদি তোমার কোনো অ্যালার্জেনের প্রতি অ্যালার্জি থাকে, তবে সেই স্থানে ফুসকুড়ি হবে।
তোমার ডাক্তার একটি রক্ত পরীক্ষাও করতে পারেন, যাকে রেডিওঅ্যালার্জোসর্বেন্ট পরীক্ষা (RAST) বলা হয়। এই পরীক্ষায় তোমার রক্তে অ্যালার্জেনের প্রতি অ্যান্টিবডি খুঁজে দেখা হয়।
অ্যালার্জির চিকিৎসা এড়ানো, ঔষধ এবং ইমিউনোথেরাপির উপর নির্ভর করে।
তোমার অ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার সবচেয়ে ভাল উপায় হল অ্যালার্জেন এড়িয়ে চলা। যদি তুমি জানো যে তোমার কোন জিনিসে অ্যালার্জি আছে, তবে সেগুলো এড়িয়ে চলাই হল সবচেয়ে ভালো উপায়।
অ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য তোমার ডাক্তার বিভিন্ন ধরনের ঔষধ দিতে পারেন, যেমন: