এই কাবাডি কাবাডি খেলা দেখে তো মরতে ইচ্ছে করছে!




কলকাতা:
কে বলেছে ক্রিকেটই একমাত্র আকর্ষণীয় খেলা? এবার নজর দাও এই কাবাডিতে। পয়লা বারের মতো কলকাতায় শুরু হয়েছে প্রো কাবাডি লীগ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে
  • দাবাং দিল্লি
  • পাটনা পাইরেটস
  • তেলুগু টাইটান্স
  • জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স
  • হরিয়ানা স্টিলার্স
  • বঙ্গল ওয়ারিয়র্স
  • পুণেরি পল্টান
  • উ মুম্বাই

  • সহ আরও 11টি দল।

    বুকে দুই দলের নাম, মাথায় হেলমেট, পিঠে প্রতিপক্ষকে জাপটে ধরার প্রবল ইচ্ছা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতার ময়দানে এসে ভিড় জমিয়েছে কাবাডি খেলোয়াড়রা। তাদের নিয়েই চলছে নতুন কাবাডি লীগ।

    খেলা নতুন হলেও ব্যাপারটা নতুন নয়। হাজার বছর ধরে ভারতে এই খেলা হয়ে আসছে। কাবাডির উৎপত্তি ভারতে। প্রাচীন গ্রন্থ মহাভারতে এই খেলা উল্লেখ রয়েছে। তবে ভারতীয় ডাকাতদের খেলা বলে দাবি করেন কিছু ইতিহাসবিদ। পেশাদারি কাবাডি কখন থেকে শুরু হল তা নিয়েও বিস্তারিত জানা যায় না। তবে বলা হয়, ১৯১৪ সালে প্রথম পেশাদারি কাবাডি খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৩৮ সালে গঠিত হয় ভারতীয় কাবাডি ফেডারেশন।

    কাবাডি প্রাথমিকভাবে দুই দলের খেলা। প্রত্যেক দলে সাত জন খেলোয়াড় থাকে। খেলা চলে দুটি অর্ধে। প্রতি অর্ধে বিশ মিনিট সময় থাকে। খেলার মাঠ 13 বাই 10 মিটার। মাঠের মাঝখানে একটি রেখা টানা থাকে। এই রেখাকে বলা হয় সেন্টার।

    এক দলের একজন রেডার বিপক্ষ দলের মাঠে ঢুকে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের স্পর্শ করে ফিরে আসে। প্রত্যেক স্পর্শে সে পয়েন্ট পায়। প্রতিপক্ষ দলের সদস্যরা রেডারকে ধরে ফেলার চেষ্টা করে। ধরে ফেললে বিপক্ষ দল পয়েন্ট পায়।

    কাবাডি খেলার সময় দুই দলের মুখোমুখি বসে "কাবাডি কাবাডি" শব্দ আওড়াতে থাকে। এই সময় রেডার প্রতিপক্ষ দলের মাঠে ঢুকতে পারবে না। শব্দ আওড়ানো বন্ধ হলে রেডার প্রতিপক্ষের মাঠে ঢুকে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের স্পর্শ করে ফিরে আসতে পারে।

    কাবাডি একটি দুর্দান্ত খেলা। এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয়ই শক্তিশালী করার একটি দুর্দান্ত উপায়। এই খেলাটি দলগত কাজ এবং কৌশলের একটি শিক্ষা দেয়।

    কলকাতায় শুরু হওয়া এই কাবাডি লীগ নিয়ে খুবই উত্তেজিত শহরবাসীরা। আশা করা হচ্ছে এই লীগ জনপ্রিয়তা লাভ করবে এবং আরও বেশি মানুষকে এই খেলাটির প্রতি আকৃষ্ট করবে।

    আসুন সবাই মিলে কাবাডি খেলি এবং শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকি।