এই তো সেই জিৎভাই যিনি মনে প্রাণে আজও জিৎনা দাদা
জিৎকুমার, বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির এক পরিচিত মুখ। তার অভিনয় দক্ষতা এবং দর্শকদের মনের মধ্যে জায়গা করে নেয়ার ক্ষমতা সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর প্রতিটি চরিত্রই তাঁর অনন্য অভিনয় শৈলী দ্বারা অনস্বীকৃত হয়ে ওঠে।
আপনি কি জানেন জিৎকুমার নিজের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন একজন স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান হিসাবে? হ্যাঁ, এটা সত্যি। তবে কমেই জানেন, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি থেকে সিনেমা পর্যন্ত এত দীর্ঘ পথ তিনি অতিক্রম করেছেন কত কষ্টে।
জিৎকুমারের জন্ম ভারতের রাজস্থানে একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে। তিনি স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করতেন এবং সবসময় স্ট্যান্ড-আপ কমেডি করে মঞ্চে উঠতে পছন্দ করতেন। তিনি একজন প্রতিভাবান কমেডিয়ান ছিলেন এবং তাঁর পারফরম্যান্স দর্শকদের খুব ভাল লাগত।
তবে, কমেডির জগতে তিনি আরও কিছু করতে চেয়েছিলেন। তিনি জানতেন যে, সিনেমা তাঁর প্রতিভা প্রকাশের জন্য একটি দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। তাই তিনি কলকাতা চলে এসেছিলেন এবং আশপাশের সিনেমা কিংবা শর্ট ফিল্মের অডিশন দিতে শুরু করেছিলেন।
অডিশনের দিনগুলি ছিল কঠিন। অনেকবার তিনি প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন। তবে জিৎকুমার হাল ছেড়েননি। তিনি নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়েই গেছেন।
একদিন, তিনি একটি সিনেমার জন্য নির্বাচিত হন। এটি ছিল একটি ছোট চরিত্র, তবে জিৎকুমার এটিকে সেরাভাবে উপভোগ করেছিলেন। তিনি নিজের সময় এবং শক্তি দিয়ে চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলেছিলেন।
সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল এবং দর্শকদের কাছ থেকে প্রশংসা অর্জন করেছিল। জিৎকুমারের অভিনয়ও খুব প্রশংসিত হয়েছিল। এরপর তিনি আর পিছনে ফিরে তাকাননি।
এরপর, তিনি আরও অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং প্রতিটি চরিত্রেই দর্শকদের মন জয় করেছেন। তিনি কমেডি, রোমান্টিক এবং থ্রিলার সহ বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
জিৎকুমার আজ বাংলা সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা। তিনি তাঁর সহজ অভিনয় এবং দর্শকদের মনের মধ্যে জায়গা করে নেয়ার ক্ষমতার জন্য পরিচিত। তিনি আজকের যুগের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা।
জিৎকুমারের গল্প অনুপ্রেরণাদায়ক। এটি স্বপ্নের পিছু ধাওয়া এবং কঠোর পরিশ্রমের শক্তির একটি গল্প। তিনি আমাদের দেখান যে, যদি আমরা সত্যিই কিছু চাই, তাহলে আমরা অবশ্যই এটি অর্জন করতে পারি।