এই প্রানবন্ত ছাত্রীর প্রশ্নের জবাবে রীতিমতো অবাক হয়ে গেলেন HDFC ব্যাংকের কর্তারা !




হ্যাঁ, এটা ঠিক যে HDFC ব্যাংকের সাম্প্রতিক ত্রৈমাসিক ফলাফলগুলি বেশ আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু এটি একটি তরুণ ছাত্রীর প্রশ্ন যা সত্যই সবার মনোযোগ কেড়েছে।

এই ঘটনাটি ঘটেছে একটি শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর সময় যখন HDFC ব্যাংকের সিইও, শশিকান্ত দাস, ছাত্রদের সাথে মুখোমুখি প্রশ্নোত্তর অধিবেশন করছিলেন। তখন এক তরুণী ছাত্রী একটি প্রশ্ন করলেন যা ব্যাংক কর্তাদের অবাক করে দিয়েছে।

  • ছাত্রী: "স্যার, আমি জানতে চাই যে HDFC ব্যাংক কীভাবে অর্থ উপার্জন করে?"
  • দাস: "খুব ভালো প্রশ্ন। আমরা মূলত আমাদের গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত গ্রহণ করে এবং সেই টাকা অন্যদের কাছে ঋণ হিসেবে দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করি।"
  • ছাত্রী: "আমি বুঝলাম স্যার। কিন্তু যারা ঋণ নেয় না তাদের কাছ থেকে কীভাবে আপনি অর্থ উপার্জন করেন?"

দাসের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই চমৎকার। তিনি ছাত্রীর কৌতূহলের প্রশংসা করলেন এবং ব্যাখ্যা করলেন যে ঋণ না নেওয়া গ্রাহকদের কাছ থেকেও ব্যাংক কীভাবে অর্থ উপার্জন করে।

দাস: "এটি একটি দুর্দান্ত প্রশ্ন। এমন অনেক উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে আমরা ঋণ না নেওয়া গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারি। এর মধ্যে অন্যতম হল ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ফি আদায় করা। এছাড়াও, আমরা ব্যাংক সঞ্চয়ী হিসাবের উপর সুদ প্রদান করি যা আমাদের আয়ের একটি উৎস।"

ছাত্রীর প্রশ্ন এবং দাসের মিথস্ক্রিয়াটি শিক্ষামূলক প্রদর্শনীর একটি হাইলাইট ছিল। এটি শুধুমাত্র HDFC ব্যাংকের ব্যবসায়ের মডেলের একটি অন্তর্দৃষ্টি দেয়নি, বরং এটি এও প্রদর্শন করেছে যে কীভাবে একটি সহজ প্রশ্নও একটি আলোকিত আলোচনা শুরু করতে পারে।

এই ঘটনাটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নগুলিও কখনও কখনও সবচেয়ে চিন্তা-উদ্দীপক হতে পারে। এবং এটি কেবল ব্যাংকিং ক্ষেত্রের জন্যই নয়, যে কোনো শিল্পের জন্য প্রযোজ্য।

এই প্রতিভাবান ছাত্রীকে তার কৌতূহলের জন্য অভিনন্দন যা এত মূল্যবান আলোচনা শুরু করেছে।

ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি:

এই ঘটনাটি আমাকে আমার নিজের পেশাগত জীবনের বিষয়ে চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। আমি একজন সাংবাদিক হিসেবে কাজ করি এবং প্রায়শই আমার নিজের প্রশ্নের সাথে লড়াই করি। কিন্তু এই ঘটনাটি আমাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে যে কখনো কখনো সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নগুলোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

আমি এই তরুণী ছাত্রীকে তার কৌতূহলের জন্য অভিনন্দন জানাই এবং আশা করি যে তিনি তার আগ্রহকে অনুসরণ করতে থাকবেন।

আমরা সকলেই এই ছাত্রীর কাছ থেকে কিছু শিখতে পারি। সবচেয়ে সাধারণ প্রশ্নগুলোও কখনো কখনো সবচেয়ে চিন্তা-উদ্দীপক হতে পারে। তাই কখনোই নিজের কৌতূহলকে দমন করবেন না। প্রশ্ন করুন, অনুসন্ধান করুন এবং আপনার জ্ঞানের দিগন্ত প্রসারিত করুন।