একজন মানুষের, এতদিন পরেও লিখছেন বিবেক দেবরয়




bibek debroy
এই লেখাটির ভোক্তা হিসেবে আমি একটা সুযোগ নিচ্ছি। গতকাল ফোন এলো, প্রশ্ন করলেন, "আমাদের লোক গেল কয়েক মাসে দুবার আপনার এখান থেকে বই নিয়ে গেছেন, আপনি কি টাকা পেয়েছেন?" মুখ ফুসে বলে দিলাম, "একটা বারই বই গেছে, টাকার প্রশ্ন তোলার মানে কি?" ফোন রেখে দিয়ে বুকের চাপ অনুভব করলাম। মনে হলো বই এবার নেয়াই যাচ্ছে না, তার উপরে অণুভূতি আর কষ্টও বাড়ছে।
আমি মনে করি যে বই এখনও এখানে রেখে দেওয়া উচিত কিনা, নাকি দাদার সঙ্গে ভাব করে কোথাও চলে जाना चाहिए। এর আগে দাদা বলেছিলেন, "এই বইগুলো এখানে রাখবে কেন?" আমি বলেছিলাম, "এগুলো সরকার পরিবহণ করে নিয়ে গেছে, তাই মনে হচ্ছে সদ্য পাওয়া গেছে।" তারপর দাদা বলেছেন, "সময় এসে গেছে এইগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার।" আমি বলেছি, "না, আমি এগুলো এখনও রেখে দেব।"
কিন্তু গতকাল ফোন আসার পরে আমার মনে হলো যে এগুলো আর এখানে রাখা উচিত নয়। আমি দাদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আমাদের কি এগুলো ফিরিয়ে দেওয়া উচিত?" দাদা বলেছেন, "হ্যাঁ, এখনই ফিরিয়ে দাও।" আমি বলেছি, "কোথায় নিয়ে যাব?" দাদা বলেছেন, "সম্ভবত তোমাকে সরকারের অফিসে নিয়ে যেতে হবে।"
তারপর দাদা বলেছেন, "তবে এগুলো যদি তোমার প্রয়োজন হয়, তা হলে তুমি এগুলো রাখতে পারো।" আমি বলেছি, "না, আমার এগুলোর প্রয়োজন নেই।" দাদা বলেছেন, "তাহলে তুমি এগুলো ফিরিয়ে দাও।"
আমি বলেছি, "ঠিক আছে, ফিরিয়ে দিচ্ছি।" দাদা বলেছেন, "আচ্ছা, চলো যাই।" তারপর দাদা বলেছেন, "এগুলো নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করে ফেলেছি।"
তারপর আমরা দুজনে গাড়িতে চেপে বেরিয়ে পড়লাম। গাড়িতে চড়ার পরে দাদা বলেছেন, "এগুলো নিয়ে যাওয়াটা ভালো হবে।" আমি বলেছি, "হ্যাঁ, ভালোই হবে।" তারপর দাদা বলেছেন, "তুমি এগুলো রেখে দিলে তোমাকে আর কষ্ট হবে না।" আমি বলেছি, "না, হবে না।" তারপর দাদা বলেছেন, "তোমার আর এগুলোর প্রয়োজন হবে না।" আমি বলেছি, "না, হবে না।"
তারপর আমরা দুজনে গল্প করতে করতে সরকারি অফিস পৌঁছে গেলাম। অফিসে ঢুকতেই আমার বুকের চাপ আরও বেড়ে গেল। এতদিন পরে আবার এই অফিসে এসেছি। এখন এই অফিসটা আমার কাছে অপরিচিত লাগছে। আগে এই অফিসটা আমার কাছে খুব পরিচিত ছিল, কারণ আমার দাদার অফিস ছিল এখানে। আজ এখানে এসে সেই সব পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে গেল।
আমি দাদার সঙ্গে অফিসে ঢুকলাম। অফিসের ভিতরে ঢুকতেই একজন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে এলেন। তিনি আমাদের জিজ্ঞাসা করলেন, "কি চান?" আমি বলেছি, "এগুলো ফিরিয়ে দিতে এসেছি।" তিনি বলেছেন, "কোথা থেকে এসেছেন?" আমি বলেছি, "এখানেই থেকে এসেছি।" তিনি বলেছেন, "কিভাবে এগুলো এখানে এলো?" আমি বলেছি, "সরকার পরিবহণ করে নিয়ে গেছে।" তিনি বলেছেন, "এখন কেন ফিরিয়ে দিচ্ছেন?" আমি বলেছি, "কারণ এগুলো আমার দরকার নেই।" তিনি বলেছেন, "তাহলে রেখে দিন।" আমি বলেছি, "না, আমি এগুলো রেখে দিতে পারব না।" তিনি বলেছেন, "তাহলে ফিরিয়ে দিন।" আমি বলেছি, "ঠিক আছে, ফিরিয়ে দিচ্ছি।"
তারপর আমি দাদার সঙ্গে গাড়িতে চেপে বেরিয়ে পড়লাম। দাদা বলেছেন, "এবার মুক্তি পেয়েছিলে।" আমি বলেছি, "হ্যাঁ, এবার মুক্তি পেলাম।" তারপর আমি দাদাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, "আপনি কেন আমাকে এগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন?" দাদা বলেছেন, "কারণ এগুলো তোমার আর দরকার নেই।" আমি বলেছি, "না, এগুলো আমার দরকার নেই।" তারপর দাদা বলেছেন, "তাহলে এগুলো ফিরিয়ে দিয়েছো কেন?" আমি বলেছি, "কারণ এগুলো আমার আর দরকার নেই।" তারপর দাদা বলেছেন, "তাহলে তুমি এগুলো রেখে দিলে তোমাকে আর কষ্ট হবে না।" আমি বলেছি, "না, হবে না।" তারপর দাদা বলেছেন, "তোমার আর এগুলোর প্রয়োজন হবে না।" আমি বলেছি, "না, হবে না।"
তারপর আমরা দুজনে গল্প করতে করতে বাড়ি পৌঁছে গেলাম। বাড়িতে ঢুকতেই আমার বুকের চাপ অনেক কমে গেল। আমি এই বইগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাদার কাছে কৃতজ্ঞ। এই বইগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দাদাকে সাহায্য করার জন্যও আমি কৃতজ্ঞ।