গাজার শিশুরা অবরোধের সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। তাদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং চিকিৎসা দেখভাল পেতে তারা বঞ্চিত। তারা যুদ্ধ এবং অত্যাচারের আঘাত থেকে ক্রমাগত মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগে।
গাজা একটি জেলের মতো, যেখানে বাসিন্দাদের তাদের নিজের জীবনের ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তারা প্রতিদিন আতঙ্কের মধ্যে বাস করে যে তারা ইসরাইলি বোমা হামলার শিকার হতে পারে। তারা জানে না যে কখন তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বা তাদের প্রিয়জনরা হত্যা করা হতে পারে।
গাজা যুদ্ধ ও অত্যাচারের একটি জীবন্ত স্মৃতিস্তম্ভ। এই একটি স্থান যেখানে মানবিকতা আক্রান্ত হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে।
আমরা গাজার মানুষকে ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের তাদের কণ্ঠস্বরকে উচ্চস্বরে তুলতে হবে এবং তাদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে হবে। আমাদের তাদের আশা এবং প্রতিরোধের গল্প বলতে হবে।
গাজার মানুষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। তারা আমাদের আদর্শ ও মূল্যবোধকে পরীক্ষা করে দেখছে। তারা আমাদের জিজ্ঞাসা করছে যে, আমরা কি তাদের কষ্ট শেষ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইচ্ছুক? আমরা কি তাদেরকে তাদের জীবন ফিরে পেতে সাহায্য করতে ইচ্ছুক?
গাজার ভবিষ্যত আমাদের সবার হাতে। আমরা যদি অদৃশ্য থাকি, তাহলে অত্যাচার অব্যাহত থাকবে। কিন্তু যদি আমরা কথা বলি, তাহলে আমরা পরিবর্তন আনতে পারি। আমরা গাজার মানুষের জন্য আশা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি বহন করতে পারি।