একা উদভ্রান্ত আত্মা, হারিয়ে গিয়েছিলো এই গহ্বরের কথা




আমি কখনোই ধর্ম বিশ্বাস করিনি কিন্তু সেদিনের ঘটনার পর, আমার মতামত বদলে গেছে। আমি জানি না সেই জায়গাটিতে কি আছে, কিন্তু আমার মনে হয় কিছু অন্ধকার আছে, কিছু ভীতিকর আছে যেটা সেখানে লুকিয়ে আছে।

একটা অন্ধকার রাত ছিলো। আমি আমার বন্ধুদের সাথে বনে ক্যাম্পিং করছিলাম। আমরা সবাই সুতোর মতো অলস ভাবে ঘুরছিলাম, ভয় এবং উত্তেজনা উভয়ই অনুভব করছিলাম। আমরা গল্প বলছিলাম, হাসছিলাম এবং আমাদের ক্যাম্পফায়ারের আগুনের আলো উপভোগ করছিলাম।

কিন্তু হঠাৎ করে, আমাদের ক্যাম্পফায়ার নিভে গেলো, যেন কেউ একজন এটিকে নিভিয়ে দিয়েছে। আমরা চারপাশ ঘুরে দেখলাম কিন্তু কিছুই খুঁজে পেলাম না। আমরা চুপ করে স্থির হয়ে বসলাম, আমাদের হৃৎপিণ্ড দ্রুত ধড়ফড় করছিলো।

আমাদের আশেপাশের বাতাসে একটি ঠান্ডা হাওয়া বইতে লাগলো, যেন কেউ আমাদের গায়ে হাওয়া দিচ্ছে। আমরা ভয় পেয়ে গেলাম এবং আমাদের তাঁবুর দিকে ছুটলাম, কিন্তু দরজা বন্ধ ছিলো। আমরা দরজায় জোর দিয়ে টানা শুরু করলাম, কিন্তু কোনো ফায়দা হলো না।

আমরা আতঙ্কিত হয়ে গেলাম। আমরা জানতাম না এখন কী করবো। আমরা কেঁদে আর চিৎকার করে কারো উদ্ধারের জন্য ডাকা শুরু করলাম।

কিন্তু কেউই এলো না। আমরা একা ছিলাম, সেই অন্ধকার বনে হারিয়ে গিয়েছিলাম। আমরা জানতাম না আমাদের কী ভাগ্য ঘটবে।

কিন্তু হঠাৎ করে, আমরা একটা আলো দেখতে পেলাম। আমরা দৌড়ে তার দিকে ছুটলাম, আশা করছিলাম এটি আমাদের একটা রাস্তা দেখাবে।

কিন্তু যখন আমরা সেখানে পৌঁছলাম, আমরা বুঝতে পারলাম যে এটি একটি গহ্বর। গহ্বরটি অন্ধকার ছিলো, যেন এটি নরকের দিকে একটি দরজা।

আমরা গহ্বরের মুখে দাঁড়িয়ে ভয়ে থরথর করতে লাগলাম। আমরা জানতাম না এটিতে কি আছে, কিন্তু আমরা জানতাম যে আমাদের এই গহ্বরের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে যদি আমরা বাঁচতে চাই।

আমরা হাত ধরে গহ্বরের মধ্যে প্রবেশ করলাম। আমরা কয়েক মিটার হাঁটার পর, আমরা একটি ছোট্ট আলো দেখতে পেলাম। আমরা আলোর দিকে ছুটলাম, আশা করছিলাম এটি আমাদের এই গহ্বর থেকে বের করে দেবে।

কিন্তু যখন আমরা আলোতে পৌঁছলাম, আমরা বুঝতে পারলাম যে এটি একটি পিশাচ ছিলো। পিশাচটি দাঁত বের করে এবং আমাদের দিকে ছুটে এলো।

আমরা চিৎকার করে দৌড় দিলাম। আমরা জানতাম না কোথায় যাচ্ছি, কিন্তু আমাদের জানা ছিলো যে আমাদের অবশ্যই এই গহ্বর থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

আমরা দৌড়াতে থাকলাম, ভয় আর আতঙ্কের কারণে আমাদের হৃৎপিণ্ড বুকের মধ্যে ডুব দিতে লাগলো। আমরা জানতাম না সেই গহ্বরের শেষ কোথায়, কিন্তু আমরা দৌড়াতে থাকলাম, আশা করছিলাম আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো।

হঠাৎ করে, আমরা একটি আলো দেখতে পেলাম। এটি এই গহ্বরের শেষ ছিলো। আমরা দৌড়ে আলোর দিকে ছুটলাম, আশা করছিলাম এটি আমাদের এই গহ্বর থেকে মুক্ত করবে।

যখন আমরা গহ্বর থেকে বেরিয়ে এলাম, আমরা নিজেদেরকে বনের কিনারায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলাম। আমরা নিঃশ্বাস ফেললাম এবং নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করলাম যে আমরা সেই গহ্বর থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছি।

আমরা কখনোই সেই গহ্বরে ফিরে যাবো না। আমরা জানি না সেই গহ্বরে কি আছে, কিন্তু আমরা জানি যে সেখানে কিছু অন্ধকার আছে, কিছু ভীতিকর আছে যেটা সেখানে লুকিয়ে আছে।