এক মুম্বইকর অতিধনীর জীবনের ঝলক




আমি সবসময় মনে করি, ধনীর মানুষদের জীবনটা নিশ্চয়ই খুব আকর্ষক হবে। বিলাসবহুল গাড়ি, বিশাল প্রাসাদ, এবং হীরাখচিত নানান জিনিস তাদের জীবনের অংশ হবে। কিন্তু মুম্বাইয়ের একজন অতিধনীর সাথে দেখা করার পর আমার সেই ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে গেছে।

তার নাম রাম। তিনি একজন স্ব-নির্মিত ধনকুবের, এবং তার ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য ব্যাপক। কিন্তু যখন আমি তার সাথে দেখা করলাম, তখন আমি দেখলাম যে তিনি একজন বিনয়ী এবং সহজ-সরল ব্যক্তি। তিনি বিশাল বাড়িতে থাকেন না, এবং তার কাছে বিলাসবহুল গাড়িও নেই। তিনি যে পোশাক পরেন তাও সাধারণ।

আমরা তার কার্যালয়ে বসেছিলাম, এবং আমি তাকে তার জীবনযাত্রা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি হেসে বললেন, "আমি মনে করি না আমার জীবনযাত্রা এতটা আকর্ষক। আমি প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠি, স্নান করি, এবং কাজে যাই। সন্ধ্যেবেলা আমি বাড়ি ফিরে আসি, স্ত্রী এবং সন্তানদের সাথে সময় কাটাই, এবং তারপর ঘুমাতে যাই।"

আমি জানতে চাইলাম, "তাহলে আপনি আপনার ধন দিয়ে কি করেন?"

তিনি উত্তর দিলেন, "আমি আমার ধন দিয়ে দাতব্য কাজ করি। আমি হাসপাতাল, স্কুল এবং অনাথ আশ্রম নির্মাণের জন্য অর্থ দান করি। আমি বিশ্বাস করি যে ধন শুধু নিজের সুখের জন্য নয়, অন্যদেরও সাহায্য করার জন্য।"

তার কথাগুলো আমার মনে গেঁথে গেল। আমি বুঝতে পারলাম যে অর্থ সুখ কিনতে পারে না, তবে এটি অন্যদের সাহায্য করার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমি রামের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, এবং আমি যখনই তাকে মনে করি, তখনই আমি অনুপ্রাণিত হই।


সুখের সূত্র

আমি মনে করি রামের জীবন থেকে আমরা সকলেই শিখতে পারি। সুখের সূত্র অর্থে নয়, অন্যদের সাহায্য করার আনন্দে। যখন আমরা অন্যদের সাহায্য করি, তখন আমাদের নিজেদের ভালো লাগে। এটি একটি মহান অনুভূতি, এবং এটি আমাদের সবাইকে অনুভব করা উচিত।


আপনার কাজ শুরু করুন

আপনি যদি অন্যদের সাহায্য করতে চান, তবে আজই শুরু করুন। ছোট-বড় যে কোন কিছু হতে পারে। আপনি একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করতে পারেন, আপনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে যোগদান করতে পারেন, অথবা আপনি কেবল আপনার প্রতিবেশীদের সাহায্য করতে পারেন। যে কোনটি করুন, কিন্তু আজই শুরু করুন।

আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি যে আপনি খুশি হবেন।