এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্প
যেকোনো শিশুরই স্বপ্ন একটি দুর্দান্ত tươngর্জিত জীবনযাপন করা এবং ভবিষ্যতের সুখী জীবনের জন্য যথেষ্ট অর্থ জমা করা। কিন্তু একটি অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত ভবিষ্যত নিশ্চিত করা একটি শিশুর জন্য একটি বড় কাজ। আমাদের সমস্ত অভিভাবক চান যে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিকভাবে সুরক্ষিত এবং স্থিতিশীল হোক যাতে তারা তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে পারে। তাদের ইচ্ছাকে সত্যি করার জন্য অর্থনীতিতে বেশ কিছু সরকারি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তেমনি ভারত সরকারও চালু করেছে এই প্রকল্প। এছাড়াও এই প্রকল্পটি চালু করেছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সরকার তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যত സুরক্ষিত করতে চায়।
এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্প হচ্ছে ভারত সরকার কর্তৃক পরিচালিত একটি পেনশন প্রকল্প। এই প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো ভারতের নাগরিকদের অবসর জীবনে একটি নির্দিষ্ট আয় নিশ্চিত করা। এনপিএস বেসরকারি খাতের কর্মচারীদের জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী অবদান সংক্রান্ত পেনশন তহবিল। এই প্রকল্পটি ২০০৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অবদান প্রদান করবেন তাদের কর্মজীবনের সময় এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অবসরের বয়সে মাসিক পেনশন পাবেন। অংশগ্রহণকারীদের তাদের অবদানের পরিমাণ এবং নিয়োগকারী কর্তৃক প্রদান করা অবদানের পরিমাণ নির্বাচন করার বিকল্প রয়েছে।
এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করার জন্য নিম্নলিখিত যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন:
১. ভারতের নাগরিক হতে হবে।
২. বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
৩. একটি বৈধ প্যান কার্ড থাকতে হবে।
৪. একটি বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে।
যদি আপনি এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী হন তবে আপনি আপনার নিকটস্থ এনপিএস পয়েন্ট অফ প্রেজেন্স (POP) এ গিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। আপনি অনলাইনেও একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এনপিএস ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে গিয়ে।
এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্পে অংশগ্রহণের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যেমন:
১. কর ছাড়: এনপিএসে অবদানের উপর ৮০সি ধারার অধীনে কর ছাড় পেতে পারেন।
২. সরকারি অবদান: সরকার কর্মচারীদের অবদানের প্রতি ১০ শতাংশ অবদান দেবে, যা অতিরিক্ত সঞ্চয় তৈরি করতে সহায়তা করবে।
৩. ম্যাচিউরিটি সুবিধা: অবসরের সময়, অংশগ্রহণকারীরা তাদের সঞ্চিত তহবিলের ৪০ শতাংশ অবসরের আনুমানিকতা হিসাবে প্রত্যাহার করতে পারেন। বাকি ৬০ শতাংশ একটি অ্যানুইটি চুক্তিতে বিনিয়োগ করা হবে, যা মাসিক পেনশন প্রদান করবে।
৪. নমনীয়তা: এনপিএস অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা তাদের অবদানের পরিমাণ এবং ফান্ডের স্কিম নির্বাচন করতে পারেন।
এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্প তরুণ প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনি যদি এনপিএস বাৎসল্য পেনশন প্রকল্পের সুবিধাগুলি অর্জন করতে আগ্রহী হন, তবে আজই আপনার নিকটস্থ এনপিএস পিওপি-তে একটি অ্যাকাউন্ট খুলুন।