এপ্রিলের আবেদন




বসন্তের দ্বিতীয় মাস এপ্রিল। যখন প্রকৃতির মুখে ফোটে নতুন রং। নদীর তীরে গাছের ডালে ডালে মধুর কণ্ঠে ডাকাডাকি করতে থাকে পাখিরা। এই সময়েই কৃষকের ক্ষেতে দাপিয়ে বেড়ায় পেটের দায়ে ক্ষুধার্ত ঘূর্ণিঝড়।

সকালের বেলার শীতল বাতাসে শরীরে লাগে এক আনন্দদায়ক স্পর্শ। মনে জাগে আনন্দের একটা জোয়ার। চিক্ চিক্ করে ডাকছে শালিক পাখি। দূরে কোকিলের কুহুর পিক বুঝিয়ে দিচ্ছে বসন্তের আগমন। কবিগুরুর কণ্ঠ হয়ে তারা শোনাচ্ছে ঋতুর বার্তা। শীতের আলস্য ঘুচে যায় শরীর থেকে। আকাশের দিকে তাকিয়ে মনের মধ্যে একটা প্রশান্তির বোধ জাগে।

এপ্রিলের শুরুর দিকে

এ সময়টা বেশ মনোরম। আকাশটা হয় নীলচে স্বচ্ছ। বলে মনে হয় যেন ইটলিয়ান স্কাই। আকাশের দূর থেকে দূরে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের দল। কখনো কখনো মনে হয় ঠিক যেন রুঁই মাছের কাঁটা হয়ে আছে আকাশে। সূর্য রাজা থাকেন মেজাজে। সকালবেলা হালকা গরম পড়ে। দুপুর বেলা প্রচন্ড গরম পড়ে বটে কিন্তু সূর্য ততোটা তীব্র হন না। ঠান্ডা সর্দির সমস্যা কমে যায়। এপ্রিল মাসটা শীত শেষের শেষ দিকের মাস।

কৃষকরা এ মাসটিকে খুবই গুরুত্বের সহিত দেখেন। কারণ, এ মাসে কৃষকরা বীজ বপন করেন। দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হওয়ার জন্য জমি ভিজে থাকে। ফলে কৃষকরা খুব সহজেই বীজ বপন করতে পারেন।

এপ্রিলে টুকটুকি পাখি ডেকে ওঠে দুপুরের বেলা। আর মাঠে মাঠে বেশ কয়েকদিন ধরে গরুর গাড়ির শব্দ শুনা যায়। কারণ, কৃষকরা জমি চাষ করার কাজ শুরু করেন।

আবার এ সময়টা পিকনিকের জন্য আদর্শ। কারণ, এই সময়টায় আবহাওয়া বেশ সহনশীল থাকে। পিকনিকের জন্য যেতে পারেন কাছের কোনো পার্ক বা বাগানে। পিকনিকে যেতে পারেন পরিবার বা বন্ধুদের সহিত।

এপ্রিলের রাতটা চমৎকার। পূর্ণিমা রাতে যদি বাইরে বসে থাকেন তবে দেখবেন নক্ষত্রের দল ঝিকিমিকি করছে। মনে হবে যেন স্বর্গ থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে তারা। পূর্ণিমা রাতে যদি নদীর তীরে বসে থাকেন তবে দেখবেন পানিতে চাঁদের আলো পড়েছে। চাঁদের আলোয় পানিটা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। মনে হবে যেন পানির উপরে একটা সাদা কাপড় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।