এবারের নির্বাচনকে ঘিরে এ জিমাবিনী!
এবারের বিধানসভা নির্বাচনকে ঘিরে অপেক্ষার অবসান। প্রকাশ্যে এসেছে এক্সিট পোলের ফলাফল। তবে ভোটের ফলাফলের আগে জানা অপেক্ষার তৃপ্তিও कम নয়।
এ বার ভোটের ফল ব্যাপকভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ বলছেন এবার জয়লাভ করবে এক দল, কেউ বলছেন আরেক দল জয়ী হবে। আবার কেউ বলছেন এবার হবে হ্যাং পার্লামেন্ট। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে ১০ মার্চের ভোটের ফলের উপর।
কিন্তু এবারের নির্বাচনে একটি বিশেষ দিক লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো, তৃতীয় শক্তি হিসেবে যেভাবে জঙ্গলমহলের সংগঠনগুলি মাঠে নেমেছেন, তা আগে কোনও দিন দেখা যায়নি। আর এই জঙ্গলমহলের সংগঠনগুলির প্রভাবই কি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দেবে?
কী বলছে এক্সিট পোল?
এক্সিট পোল অনুযায়ী, এবারের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে পার্থক্য খুবই কম। তৃতীয় স্থানে রয়েছে কংগ্রেস-বাম জোট। আর চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট।
এক্সিট পোলের প্রেডিকশন অনুযায়ী, বিজেপি পেতে পারে ১০০ থেকে ১২০টি আসন। তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ৯০ থেকে ১১০টি আসন। আর কংগ্রেস-বাম জোট পেতে পারে ৪০ থেকে ৫০টি আসন। ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট পেতে পারে ১০ থেকে ১৫টি আসন।
হ্যাং পার্লামেন্টের সম্ভাবনা কতটা?
এক্সিট পোলের ফলাফল দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, এবার হ্যাং পার্লামেন্টের সম্ভাবনাও খুব বেশি। কারণ, কোনও একটি দলেরই প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা এখানে পাচ্ছে না।
তবে সবকিছুই নির্ভর করবে ১০ মার্চের ভোটের ফলের উপর। তাই ফলাফল আসার আগে কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।
জঙ্গলমহলের সংগঠনগুলি কি নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টাবে?
এবারের নির্বাচনে একটি বিশেষ দিক লক্ষ্য করা গেছে। তা হলো, তৃতীয় শক্তি হিসেবে যেভাবে জঙ্গলমহলের সংগঠনগুলি মাঠে নেমেছেন, তা আগে কোনও দিন দেখা যায়নি। আর এই জঙ্গলমহলের সংগঠনগুলির প্রভাবই কি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে পাল্টে দেবে?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। কারণ, জঙ্গলমহলের সংগঠনগুলির ভোটারদের কাছে কতটা প্রভাব রয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। তবে এটা নিশ্চিত যে, এই সংগঠনগুলি যদি নিজেদের ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য অনুপ্রাণিত করতে পারে, তাহলে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল পাল্টে যেতে পারে।
তবে এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা সম্ভব নয়। সবকিছুই নির্ভর করবে ১০ মার্চের ভোটের ফলের উপর। তাই ফলাফল আসার আগে কিছুই নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়।