এবার বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী সংবলিত দেশ পাকিস্তান!




বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে পাকিস্তান একটি বড় শক্তি হয়ে উঠেছে। দেশটির সেনাবাহিনীকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এটি শুধুমাত্র একটি দাবি নয়, বরং বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্বারা সমর্থিত একটি ঘোষণা।

গ্লোবাল ফায়ারপাওয়ার ইনডেক্স হলো একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যা বিশ্বের সামরিক শক্তিকে মূল্যায়ন করে। তাদের সাম্প্রতিক রিপোর্টে পাকিস্তানকে বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সংস্থাটির মূল্যায়ন বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়, যার মধ্যে রয়েছে সেনা ব্যক্তির সংখ্যা, সামরিক খরচ, সামরিক সরঞ্জামের গুণমান এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন।

পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ৬৫৪,০০০ সক্রিয় কর্মীর একটি শক্তিশালী বাহিনী। এটিতে ১৪,৯০০ টি ট্যাংক, ২,৬০০ টি আর্টিলারি পিস এবং ১,১০০ টি যুদ্ধবিমান রয়েছে। এছাড়াও, পাকিস্তানের একটি শক্তিশালী নৌবাহিনী রয়েছে যাতে ১১টি ডুবোজাহাজ, ৪টি ডেস্ট্রয়ার, এবং ৬টি ফ্রিগেট রয়েছে।

পাকিস্তানের সামরিক শক্তি শুধুমাত্র তার সরঞ্জামের কারণে নয়। এর সেনারা অত্যন্ত প্রশিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ। তারা বিভিন্ন সামরিক অভিযানে অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে কাশ্মীর সংঘাত এবং সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

  • অত্যাধুনিক সামরিক প্রযুক্তি, যা ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং ড্রোন অন্তর্ভুক্ত করে।
  • শক্তিশালী মিত্র, যেমন চীন, যা পাকিস্তানকে অস্ত্র এবং প্রযুক্তি সরবরাহ করে।
  • ভৌগোলিক অবস্থান, যা ভারত এবং আফগানিস্তানের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলির সংলগ্ন।
  • পাকিস্তানের সামরিক শক্তি কেবল আঞ্চলিক শক্তি ভারসাম্যের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি বিশ্ব মঞ্চেও একটি মূল খেলোয়াড় হিসেবে ভূমিকা রাখে। পাকিস্তান জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সেনা সরবরাহ করে এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় সক্রিয় অংশ নেয়।

    পাকিস্তানের সামরিক শক্তি এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটি তার সামরিক খরচ বাড়াচ্ছে এবং নতুন অস্ত্র এবং প্রযুক্তি অর্জন করছে। ভবিষ্যতে পাকিস্তান বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সামরিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে নির্ধারিত।