এবার CTET পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পান নিশ্চিত
বয়সের গণ্ডি ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৪০। এবং এবার আবেদনও অনলাইনে। সবথেকে বড়ো বিষয় CTET পরীক্ষাতে বসতে যাদের বয়স ৩৫ ছিল তাদের পড়তে হত অন্তত দশটি বিষয়। এবার করোনায় দুই বছর পড়াশোনায় গাফিলতি হওয়ার কথা ভেবে সিবিএসই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছয়টি বিষয় পড়লেই হবে।
যদি আপনার শিক্ষকতায় যোগদান করার ইচ্ছা থেকে থাকে এবং আপনি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন তাহলে CTET পরীক্ষাটি আপনার জন্য এটি একটি দারুন সুযোগ।
অধিকাংশ রাজ্যে সরকারি স্কুলে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষক নিয়োগের উপযগতা নির্দেশ করার জন্য কেন্দ্রীয় শিক্ষক যোগ্যতা পরীক্ষা (CTET) করা হয়। এই পরীক্ষার জন্য আবেদন প্রায় ডিসেম্বর মাসে শুরু হয় এবং জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অধ্যাপক কশ্যপ বলেন, ‘‘এবার CTET পরীক্ষায় বসার জন্য যে নতুন নিয়মগুলি জারি করা হয়েছে সেগুলি শিক্ষকতার পেশায় আসতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য দারুন সুযোগ। পড়ার উপর জোর দিন, পরীক্ষাটি ভেঙে ফেলুন, এবং আপনার স্বপ্নের কাজটি অর্জন করুন।’’ শিক্ষিকা শ্রাবস্তী সেন বলেন, ‘‘এই নিয়মগুলি শিক্ষকতার পেশায় আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য একটি দারুণ উদ্যোগ। এটি আরও বেশি প্রার্থীকে এই ক্ষেত্রে আকৃষ্ট করবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত করতে সহায়তা করবে।’’
CTET পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে পরীক্ষার্থীদের শিশু বিকাশ ও শিক্ষাশাস্ত্র, ভাষা-1, ভাষা-2, গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়গুলিতে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
যাঁরা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবেন তাঁরা অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন। সিবিএসই-র ওয়েবসাইটে যে নোটিশটি জারি করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে যে দুই বছর ধরে শিক্ষা ব্যবস্থায় করোনার নেতিবাচক প্রভাবের কারণে এই বছর CTET পরীক্ষার্থীদের জন্য সহজ করা হচ্ছে। তবে পরবর্তী পরীক্ষা থেকে বিষয়ের সংখ্যা আবার দশটি করা হবে।
এবারের CTET পরীক্ষায় বসার জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ নিয়মগুলি জারি করা হয়েছে সেগুলি হল-
- পরীক্ষার্থীদের বয়সের গণ্ডি ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৪০ করা হয়েছে।
- এবার আবেদনও অনলাইনে করতে হবে।
- আগে CTET পরীক্ষায় বসতে যাদের বয়স ৩৫ ছিল তাদের পড়তে হত অন্তত দশটি বিষয়। এবার করোনায় দুই বছর পড়াশোনায় গাফিলতি হওয়ার কথা ভেবে সিবিএসই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ছয়টি বিষয় পড়লেই হবে।
শিক্ষক নিয়োগের জন্য CTET পরীক্ষা দেওয়ার উপকারিতা:
শিক্ষক হিসাবে কাজ করার আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য CTET পরীক্ষা একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ। এই পরীক্ষা দিয়ে সরকারি এবং সরকারি সহায়ক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক পদে নিযুক্ত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। CTET পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়ার কিছু প্রধান সুবিধা নিম্নে দেওয়া হল:
1.
সরকারি চাকরির সুযোগ: CTET পরীক্ষা উত্তীর্ণ ব্যক্তিরা সরকারি স্কুল এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থায় শিক্ষক পদে আবেদন করার যোগ্য।
2.
সম্মানজনক পেশা: শিক্ষকতা হল একটি সম্মানজনক পেশা যা সমাজে প্রশংসা পায়। একজন শিক্ষকের জীবনকে আকৃতি দিতে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তুলতে সহায়তা করার সুযোগ রয়েছে।
3.
জাতীয় স্তরে স্বীকৃতি: CTET পরীক্ষাটি জাতীয় স্তরে স্বীকৃত, যার অর্থ উত্তীর্ণ প্রার্থীরা ভারতের যেকোনো রাজ্যে শিক্ষক পদে আবেদন করতে পারেন।
4.
কর্মসংস্থানের সুরক্ষা: সরকারি শিক্ষক হিসাবে কাজ করার একটি বড় সুবিধা হল কর্মসংস্থানের সুরক্ষা।
5.
পেশাদার বিকাশের সুযোগ: শিক্ষক হিসাবে কাজ করার সময়, পেশাদার বিকাশ এবং শিক্ষামূলক কৌশলগুলি উন্নত করার জন্য বেশ কিছু সুযোগ রয়েছে।
CTET পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি কীভাবে নেবেন:
যদি আপনি CTET পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে চান তবে এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
1.
পরীক্ষার প্যাটার্ন ও সিলেবাস বুঝুন: পরীক্ষার প্যাটার্ন এবং সিলেবাস সম্পর্কে ভালোভাবে জানুন। এটি আপনাকে আপনার প্রস্তুতির পরিকল্পনা করতে সহায়তা করবে।
2.
সঠিক স্টাডি ম্যাটেরিয়াল বেছে নিন: প্রস্তুতির জন্য সঠিক স্টাডি ম্যাটেরিয়াল বেছে নিন। NCERT বই, রেফারেন্স বই এবং অনলাইন রিসোর্সগুলি আপনাকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হতে সহায়তা করতে পারে।
3.
একটি অধ্যয়ন সময়সূচী তৈরি করুন: একটি অধ্যয়ন সময়সূচী তৈরি করুন এবং এটি অনুসরণ করুন। এটি আপনাকে সংগঠিত থাকতে এবং আপনার সময় ভালভাবে ব্যবহার করতে সহায়তা করবে।
4.
অভ্যাস করুন, অভ্যাস করুন, অভ্যাস করুন: সাফল্যের মূল হল অভ্যাস। যতটা সম্ভব প্রশ্নের অভ্যাস করুন। এটি আপনার গতি এবং সटीকতা উন্নত করতে সহায়তা করবে।
5.
মক টে