ফুটবলের ইতিহাসে মার্সিসাইড ডার্বির জায়গা অনন্য। এভার্টন এবং লিভারপুলের মধ্যে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন এবং সবচেয়ে তীব্র লড়াইগুলির একটি, যা 130 বছরেরও বেশি সময় ধরে চলেছে।
এই দুটি ক্লাবের ইতিহাস গভীরভাবে জড়িত। উভয়ই লিভারপুল শহরের দুই পাশে অবস্থিত: এভার্টন উত্তরে এবং লিভারপুল দক্ষিণে। দুটি মাঠ, গুডিসন পার্ক এবং অ্যানফিল্ড, মাত্র 1.5 কিমি দূরে অবস্থিত, এটিকে সবচেয়ে ছোট দুরত্বের ডার্বি ম্যাচগুলির একটি করে তোলে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতার উৎস:
প্রতিদ্বন্দ্বিতার তীব্রতা:
মার্সিসাইড ডার্বি তার তীব্রতার জন্য বিখ্যাত। ম্যাচগুলি সাধারণত উচ্চ-স্তরের এবং আবেগপূর্ণ হয়, যা প্রায়শই উত্তেজনাপূর্ণ ফলাফল দেখা যায়। বৈরিতার উচ্চতা 1984 সালে হয়েছিল, যখন এভার্টনের সমর্থকদের দ্বারা লিভারপুলের খেলোয়াড় জিমি বেগলিনকে মাঠের উপর দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ম্যানেজারial প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
বিল শ্যাঙ্কলি এবং জো রয়লের নেতৃত্বে এভার্টন এবং লিভারপুলের মধ্যে ম্যানেজারial প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ম্যাচগুলির তীব্রতা বাড়িয়েছে। দুই ম্যানেজারই তাদের দলগুলিকে সাফল্যে নিয়ে গিয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একটি প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্ক ছিল।
খেলোয়াড়দের প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
ইতিহাস জুড়ে অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড় দুই ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। এই খেলোয়াড়রা, যেমন ডিক্সি ডিন, টমি লম্বার্ড এবং স্টিভেন জেরার্ড, মার্সিসাইড ডার্বিকে আরও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক করে তুলেছেন।
সমর্থকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা:
এভার্টন এবং লিভারপুলের সমর্থকরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ এবং উত্সাহী। ডার্বি ম্যাচগুলি তাদের দলের প্রতি তাদের আনুগত্য এবং ভালবাসা প্রদর্শন করার সুযোগ। সমর্থকদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা মাঠের বাইরেও চলতে থাকে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
সম্প্রতির ইতিহাস:
সম্প্রতি বছরগুলিতে, লিভারপুল মার্সিসাইড ডার্বিতে প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে। তবে এভার্টন সমস্যা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে, বিশেষ করে অ্যানফিল্ডে। সাম্প্রতিক ম্যাচগুলিতে, উভয় দলই শক্তিশালী ফর্ম দেখিয়েছে, যার ফলে কিছু উত্তেজনাপূর্ণ এবং উচ্চ-স্কোরিং ম্যাচ হয়েছে।
ভবিষ্যত:
এভার্টন এবং লিভারপুলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আগামী বছরগুলিতেও অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। দুটি ক্লাবই সফলতার জন্য সাহসী এবং তাদের সমর্থকরা অত্যন্ত আবেগপ্রবণ। মার্সিসাইড ডার্বি ফুটবল জগতের একটি আইকনিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা হিসাবে তার মর্যাদা বজায় রাখতে থাকবে।