আবারও এলো শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব। পুরো ভারতবর্ষ জুড়ে কর্মব্যস্ত মানুষগুলোর জন্য এটা বিশ্রাম ও আনন্দের এক দিন। অনেকেই ভ্রমণে যাবেন, কেউবা আবার ঘরে বসে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তবে সবাই ঠাকুরের জন্য পুজো, ভোগ রান্না করবেন এবং কীর্তন করবেন।
শ্রীকৃষ্ণ হিন্দু দেবতাদের মধ্যে অন্যতম প্রিয় ও জনপ্রিয় দেবতা। তিনি ভগবান বিষ্ণুর অবতার। তিনি ছিলেন এক গোপালক, যে ছোটবেলাতেই অনেক অলৌকিক কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। তিনি কংসকে বধ করেছিলেন, যিনি ছিলেন এক অত্যাচারী রাজা। শ্রীকৃষ্ণ মহাভারত যুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন। তিনি অর্জুনের সারথি হিসেবে পথ দেখিয়েছিলেন।
কৃষ্ণের জীবন একটি শিক্ষার ভান্ডার। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে ভালবাসতে হয়, কিভাবে দায়িত্ববান হতে হয় এবং কিভাবে সত্যের পথে চলতে হয়। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে সব বাধা-বিপত্তি কাটিয়ে সফল হতে হয়।
শ্রীকৃষ্ণের জন্মোৎসব আমাদের সকলকে সুখ, শান্তি ও সমৃद्धि এনে দিক।
জন্মাষ্টমীতে মিষ্টির আয়োজন না করলে তো চলে না। তাই আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি মিষ্টি দিয়ে কৃষ্ণের জন্য ভোগ বানানো যায়।
এই সব মিষ্টিই কৃষ্ণের খুব প্রিয়। তাই আপনি যদি কৃষ্ণের আশীর্বাদ চান, তাহলে জন্মাষ্টমীতে তাকে এই সব মিষ্টির ভোগ দিন।
এই নামটার সঙ্গে আমাদের সবার চোখের সামনেই একটা সুন্দর ছবি ভেসে ওঠে। পীতবাস, মাথায় ময়ূরের পালক, হাতে বাঁশি। কৃষ্ণের এই ছবিটাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
তবে কৃষ্ণের আরেকটি রূপ আছে, যেটাকে আমরা খুব একটা জানি না। সেটা হল কৃষ্ণ নীলাম্বর। নীল রঙের বস্ত্র পরিহিত কৃষ্ণকেই কৃষ্ণ নীলাম্বর বলা হয়।
কৃষ্ণ নীলাম্বরের রূপটি খুবই সুন্দর। তিনি নীল রঙের রেশমী বস্ত্র পরিহিত থাকেন। তার মাথায় ময়ূরের পালকের মুকুট, গলায় পুষ্পমালা। হাতে বাঁশি এবং বিশ্বজয়ী হাসি।
কৃষ্ণ নীলাম্বরের এই রূপটি ভক্তদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। তারা বিশ্বাস করেন যে, কৃষ্ণ নীলাম্বরের আরাধনা করলে সব মনোকামনা পূর্ণ হয়।
তাই যদি আপনিও আপনার কোনো মনোকামনা পূর্ণ করতে চান, তাহলে জন্মাষ্টমীতে কৃষ্ণ নীলাম্বরের পুজো করুন।