এস এম কৃষ্ণা




এস এম কৃষ্ণা হলেন ভারতের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। তিনি কর্ণাটকের একাদশ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

কৃষ্ণার জন্ম ১৯৩২ সালের ১লা জানুয়ারী কারওয়ারে। তিনি মহাত্মা গান্ধীর আদর্শের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ছোট বয়সেই রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে কর্ণাটক বিধানসভার সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন।

মুখ্যমন্ত্রিত্ব

১৯৯৯ সালে, কৃষ্ণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের প্রধান অবদানগুলির মধ্যে একটি ছিল কৃষকদের জন্য সুফলম নামে একটি ব্যাপক জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের সূচনা। এই প্রকল্পটি রাজ্যের ব্যাপক কৃষিজ বেষ্টনীকে জল সরবরাহ প্রদান করেছে।

কৃষ্ণা তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বকালে সর্বশিক্ষা অভিযানও চালু করেছিলেন, যা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সংস্কার করার একটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগ। এই কর্মসূচির ফলে রাজ্যের শিক্ষার হার উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রিত্ব

২০০৯ সালে, কৃষ্ণাকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়। তিনি এই পদে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে, তিনি ভারত ও অন্যান্য দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

কৃষ্ণা তাঁর কূটনৈতিক দক্ষতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি ভারতের স্বার্থের জন্য জোরালোভাবে অবস্থান করার জন্যও পরিচিত ছিলেন। তিনি আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং চীনের মতো দেশগুলিতে ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

এস এম কৃষ্ণা ভারতের একজন প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ এবং তাঁর অবদানগুলি দেশের রাজনীতিতে এবং বিদেশী বিষয়গুলিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছে।

ব্যক্তিগত জীবন

কৃষ্ণা ১৯৬৪ সালে প্রফেসর প্রমীলা কৃষ্ণাকে বিয়ে করেন। তাদের দুটি সন্তান রয়েছে। কৃষ্ণা একজন সাহিত্যিক এবং তিনি বেশ কয়েকটি বই লিখেছেন। তিনি একজন সংগীতপ্রেমীও এবং তিনি কর্ণাটকী সংগীতের ভক্ত।

উত্তরাধিকার

এস এম কৃষ্ণা ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সফল মুখ্যমন্ত্রী এবং একজন দক্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর অবদানগুলি ভারতের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপের পাশাপাশি দেশের বিদেশী সম্পর্কের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে।