1939 সালের 12 জুন, সাবারমতী আশ্রম থেকে বোম্বে (বর্তমান মুম্বাই) যাওয়ার পথে "সাবারমতী এক্সপ্রেস" ট্রেনটি আতঙ্কবাদী কর্মকাণ্ডের লক্ষ্যবস্তু হয়ে ওঠে। এই ঘটনাটি ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় ঘুরিয়ে দেয়।
ঘটনার বিবরণ:ট্রেনটি গুজরাটের সুরাত স্টেশনে যখন দাঁড়িয়ে ছিল, তখন কয়েকজন আতঙ্কবাদী গাড়ির কামরা দখল করে নেয়। তারা যাত্রীদের হুমকি দিয়েছিল এবং ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়ার দাবি জানায়। ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ ও সামরিক বাহিনী মোতায়েন করে।
পরিস্থিতি 24 ঘন্টা ধরে জটিল ছিল, যেখানে আতঙ্কবাদীরা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে বন্দি করে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও সামরিক বাহিনী ট্রেনটি আক্রমণ করে এবং আতঙ্কবাদীদের গ্রেফতার করে। ঘটনাটিতে বেশ কয়েকজন যাত্রী ও আতঙ্কবাদী নিহত হয়।
স্বাধীনতা আন্দোলনে প্রভাব:"সাবারমতী এক্সপ্রেস" আক্রমণের ঘটনা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। ঘটনাটি ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ভারতীয়দের ক্রোধ ও অসন্তোষের প্রকাশ ঘটে। এটি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা হিসেবে কাজ করে এবং তাদের আরও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ করে তোলে।
ঘটনার পরে, "সাবারমতী এক্সপ্রেস" ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়। ট্রেনটি আজও সেই দুঃখজনক ঘটনার স্মৃতি বহন করে এবং ভারতবাসীদের ত্যাগ ও বীরত্বের কাহিনী বলে।
বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা:বর্তমানে, "সাবারমতী এক্সপ্রেস" ভারতীয় রেলওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন হিসাবে চলতে থাকে। এটি ভারতের দুটি প্রধান শহর, দিল্লি এবং আহমেদাবাদকে সংযুক্ত করে। ট্রেনের কোচগুলো আধুনিকায়ন করা হয়েছে, এবং এটি যাত্রীদের জন্য আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক যাত্রা প্রদান করে।
যদিও "সাবারমতী এক্সপ্রেস" ট্রেনটির স্বাধীনতা আন্দোলনে ভূমিকা ইতিহাসের বইয়ে রয়ে গেছে, তবে ট্রেনটি এখনও ভারতবাসীর স্বাধীনতা ও ত্যাগের কাহিনী বলে।
উপসংহার:"সাবারমতী এক্সপ্রেস" ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। 1939 সালের আক্রমণের ঘটনাটি ভারতীয়দের ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্রোধ ও অসন্তোষের প্রকাশ ঘটিয়েছিল।
বর্তমানে, ট্রেনটি ভারতীয় রেলওয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন হিসাবে চলতে থাকে, এবং এটি ভারতবাসীর স্বাধীনতা ও ত্যাগের কাহিনীর একটি প্রতীক হিসাবে কাজ করে।