ওড়িশা নির্বাচন ২০২৪: কী কী বিষয় সামনে আসবে?




ওড়িশায় আগামী বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক গোলযোগ শুরু হয়ে গেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই তাদের নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছে। তবে এই নির্বাচনে কী কী বিষয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এখনই কিছুটা অনিশ্চিত।
আর্থিক উন্নয়ন
ওড়িশা দেশের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল রাজ্য। তবে রাজ্যের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কিছুটা মন্থর হয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্পায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন হল এমন কয়েকটি ক্ষেত্র যেখানে ভোটাররা সরকারের কাছ থেকে আরও বেশি প্রত্যাশা করছেন।
নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা
নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা সবসময়ই ওড়িশায় একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী বিষয় হয়ে থাকে। রাজ্যে মাওবাদী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি সক্রিয় রয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনাও বেড়েছে। ভোটাররা সরকারের কাছ থেকে এই সমস্যাগুলি মোকাবেলায় আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবি করছেন।
ভূমি অধিগ্রহণ
ভূমি অধিগ্রহণও ওড়িশায় একটি বড় নির্বাচনী বিষয় হয়ে উঠেছে। রাজ্যে বিভিন্ন শিল্প প্রকল্প এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ব্যাপক ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। এতে অনেক কৃষক এবং আদিবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিরোধী দলগুলি এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মধ্যে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করছে।
দুর্নীতি
দুর্নীতিও হল ওড়িশার নির্বাচনী রাজনীতিতে একটি বড় বিষয়। বিরোধী দলগুলি বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে। রাজ্য সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং এগুলিকে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলে দাবি করেছে। তবে দুর্নীতি বিরোধী ভোটাররা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন এবং এটি নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে।
রাজনৈতিক সহিংসতা
রাজনৈতিক সহিংসতা হল ওড়িশার নির্বাচনী রাজনীতিতে আরেকটি বড় উদ্বেগের বিষয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে রাজ্যে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের লক্ষ্য করে সহিংসতার ঘটনা বেড়েছে। এই সহিংসতা নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে এবং ভোটারদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করছে।
উপরোক্ত বিষয়গুলি ওড়িশা বিধানসভা নির্বাচন ২০২৪-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভোটাররা সরকারের কাছ থেকে এই সমস্যাগুলির সমাধান চাইছেন এবং যারা এই সমস্যাগুলি সবচেয়ে ভালভাবে মোকাবেলা করতে পারবে তাদেরই ভোট দেবেন। নির্বাচন অদূর ভবিষ্যতে অনুষ্ঠিত হবে এবং ফলাফল দিয়ে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির উপর গভীর প্রভাব পড়বে।