ওয়েস্ট নাইল জ্বর
আজকাল পশ্চিম নীলের উপদ্রব বাড়ছে, আর এই জ্বরের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে পাখি। কিন্তু কেবল পাখি নয়, মানুষও এই রোগে আকান্ত হতে পারে।
এই রোগের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলো হল ঠাণ্ডা ও ফ্লু-সদৃশ উপসর্গ যেমন জ্বর, মাথাব্যাথা, অঙ্গের ব্যথা এবং ক্লান্তি। কিছু ক্ষেত্রে এই রোগ আরও মারাত্মক হতে পারে ও এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্কের প্রদাহ) বা মেনিনজাইটিস (মস্তিষ্কের আবরণের প্রদাহ) সৃষ্টি করতে পারে।
ওয়েস্ট নাইল জ্বরের সংক্রমণ সচরাচর মাশকির কামড়ের মাধ্যমে হয়। এই মাশকিগুলো আক্রান্ত পাখিদের রক্ত খায় এবং তারপর মানুষকে কামড়ায়। এছাড়াও, সংক্রামিত রক্ত সঞ্চালন বা অঙ্গ প্রতিস্থাপন থেকেও এই রোগ ছড়াতে পারে। যদিও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ওয়েস্ট নাইল জ্বর একটি আতঙ্কের বিষয় নয়, তবে কিছু মানুষের জন্য এটি মারাত্মক হতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তি এবং দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পন্ন ব্যক্তিদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
ওয়েস্ট নাইল জ্বরের
কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। চিকিৎসা মূলত উপসর্গের উপর নির্ভর করে এবং এতে বিশ্রাম, তরল এবং ওষুধ অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। যদি এই রোগ আরও মারাত্মক রূপ নেয় তবে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে।
ওয়েস্ট নাইল জ্বর এড়ানোর উপায় হল মাশকিদের কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা। মাশকি প্রতিরোধক ব্যবহার করুন, হালকা রঙের লম্বা হাতা জামাকাপড় পরুন এবং দুপুরে বা সন্ধ্যায় যখন মাশকি বেশি সক্রিয় থাকে তখন বাইরে থাকা এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও, আপনার বাড়ির আশেপাশে মাশকির প্রজননক্ষেত্র যেমন দাঁড়ানো পানি অপসারণ করুন।
ওয়েস্ট নাইল জ্বর একটি গুরুত্বপূর্ণ রোগ যা হালকা থেকে মারাত্মক লক্ষণের কারণ হতে পারে। মাশকিদের কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করে এবং সতর্কতার ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই রোগের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।