কেইসবি শিনাওয়াত্রা: থাইল্যান্ডে আট বছরের রাজত্বকালে আধিপত্যের এক যুগ




শিনাওয়াত্রা পরিবার তাদের বিলুপ্ত ঘটনা সত্ত্বেও থাই রাজনীতিতে একটি প্রধান শক্তি হিসেবে রয়ে গেছে। এই পরিবারের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য সদস্য কেইসবি শিনাওয়াত্রা, যিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
কেইসবি শিনাওয়াত্রার প্রধানমন্ত্রীত্বকাল ছিল প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির একটি সময়। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসায়ও সফল ছিলেন। তিনি ১৯৮৭ সালে শিন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন, যা একটি বহুজাতিক সমूह যা দূরসঞ্চার, রিয়েল এস্টেট এবং মিডিয়াতে কাজ করে।
শিনাওয়াত্রার সরকার জনসাধারণের জনপ্রিয় ছিল, কিন্তু তিনি সেনাবাহিনী এবং রয়্যালিস্টদের বিরোধিতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাকে অবশেষে ২০০৬ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল। অভ্যুত্থানের পরে, শিনাওয়াত্রা নির্বাসনে চলে যান।
২০১১ সালে, শিনাওয়াত্রার অনুপস্থিতিতে তার বোন ইয়িংলুক শিনাওয়াত্রা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। ইয়িংলুক ২০১৪ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমেও ক্ষমতাচ্যুত হন।
শিনাওয়াত্রা পরিবার জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে। তারা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে একটি। কেইসবি শিনাওয়াত্রা থাই রাজনীতির একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তিনি নিঃসন্দে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনীতিবিদদের একজন।
শিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক কর্মজীবনের উত্থান এবং পতন
কেইসবি শিনাওয়াত্রার রাজনৈতিক কর্মজীবন ১৯৭০-এর দশকে শুরু হয়। তিনি ১৯৯০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন এবং ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ২০০৬ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন।
শিনাওয়াত্রার প্রধানমন্ত্রীত্বকাল ছিল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির একটি সময়। তিনি গরিব এবং শ্রমিক শ্রেণীর সহায়তা করার নীতি চালু করেন। তিনি এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে থাইল্যান্ডের ভূমিকাকে শক্তিশালী করার জন্যও কাজ করেন।
যাইহোক, শিনাওয়াত্রার রাজত্বকাল বিতর্ক ছাড়া ছিল না। তিনি দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং সেনাবাহিনী এবং রয়্যালিস্টদের বিরোধিতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাকে অবশেষে ২০০৬ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
অভ্যুত্থানের পরে, শিনাওয়াত্রা নির্বাসনে চলে যান। তিনি দুর্নীতির জন্য দোষী সাব্যস্ত হন এবং তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তিনি ২০১৭ সালে ব্রিটেনে মারা যান।
শিনাওয়াত্রা পরিবারের থাই রাজনীতির উপর প্রভাব
শিনাওয়াত্রা পরিবার জাতীয় স্তরে রাজনৈতিক ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়ে গেছে। তারা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে একটি।
কেইসবি শিনাওয়াত্রার বোন ইয়িংলুক শিনাওয়াত্রা ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৪ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমেও ক্ষমতাচ্যুত হন।
শিনাওয়াত্রা পরিবার দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছে। যাইহোক, তারা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে রয়ে গেছে।
শিনাওয়াত্রা উত্তরাধিকার
কেইসবি শিনাওয়াত্রা থাই রাজনীতির একজন বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব, কিন্তু তিনি নিঃসন্দে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনীতিবিদদের একজন।
তার প্রধানমন্ত্রীত্বকাল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির একটি সময় ছিল। তিনি গরিব এবং শ্রমিক শ্রেণীর সহায়তা করার নীতি চালু করেন। তিনি এশিয়া-প্রশান্ত অঞ্চলে থাইল্যান্ডের ভূমিকাকে শক্তিশালী করার জন্যও কাজ করেন।
যাইহোক, শিনাওয়াত্রার রাজত্বকাল বিতর্ক ছাড়া ছিল না। তিনি দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং সেনাবাহিনী এবং রয়্যালিস্টদের বিরোধিতারও মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাকে অবশেষে ২০০৬ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছিল।
শিনাওয়াত্রার উত্তরাধিকার মিশ্র। তিনি একজন সফল রাজনীতিবিদ ছিলেন যিনি থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যাইহোক, তিনি দুর্নীতির অভিযোগেরও মুখোমুখি হয়েছিলেন এবং তিনি থাই রাজনীতির বিভাজনকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন।