ভাষণে শত্রুদের চিহ্নিত করে প্রচারমাধ্যমে তাদের পেটানো মোটেই কঠিন নয়। কিন্তু একটি সমাজ হিসাবে আমরা যখন নিজেদেরকে খুজে বের করলাম, তখন আবিষ্কার করলাম যে আমাদের সর্বাগ্রে আমাদের ভুলটিকে যাচাই করতে হবে। একটি সমাজের পক্ষে সবচেয়ে বড় শত্রু হল তার ভেতরেই থাকা ভয়, ঘৃণা ও অবিশ্বাস। অতএব, আমাদের মানসিকতাকে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে, যাতে সামাজিক সম্প্রীতির মূল্যবোধ সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এটাই হল কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহারের মূল লক্ষ্য।
সমাজে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য সহিংসতা, জঙ্গিবাদ ও ঘৃণ্য ভাষণের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক। আমাদের সুশৃঙ্খলভাবে সংলাপ ও আলোচনা চালিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে হবে।
আমাদের দেশের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের কৃষি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে সমর্থন বাড়ানো এবং সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে।
এছাড়াও, সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও আমাদের প্রধান লক্ষ্য। আমরা স্বাস্থ্যকর্মীদের সংখ্যা বাড়ানো, সুলভ মূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা এবং নিঃস্বদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা প্রবর্তন করার সুযোগ খুঁজছি।
বিশেষ বৈশিষ্ট্য:আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সমাজের সকল স্তরের মানুষকে নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা সকলেই আমাদের দেশ ও এর ভবিষ্যতের জন্য দায়ী। একসাথে কাজ করার এবং একটি ইতিবাচক ও শান্তিপূর্ণ ভারত নির্মাণের জন্য আমাদের প্রতিটি ভূমিকা পালন করার সময় এসেছে।
আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা পূরণের জন্য আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আসুন আমরা হাতে হাত মিলিয়ে একটি সুষ্ঠু ও সমৃদ্ধ ভারত গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাই। ভোট দিয়ে কংগ্রেসকে সমর্থন করুন এবং একটি সুন্দর ভবিষ্যতের নির্মাণে অংশ নিন।