কনকলতা বন্দোপাধ্যায়ের নাম ভারতে শিক্ষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। এই বিপ্লবী যুবতীর গল্প এমন, যা প্রত্যেক ভারতীয়কে কাঁদায়">
এবং অনুপ্রাণিত করে।
কনকলতা জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালের ৩রা মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার এক গরিব পরিবারে। তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ও সাহসী এক কিশোরী। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি বিপ্লবী দলে যোগ দেন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশ নেন। তিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতেন, গোপন সংবাদ সংগ্রহ করতেন এবং অস্ত্র পাচার করতেন।
১৯৩২ সালের ৮ই অক্টোবর কনকলতার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল। সেদিন তিনি এবং তার সহকর্মীরা ব্রিটিশদের একটি টেলিগ্রাফ অফিস আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছিলেন। এই অফিসটি ব্রিটিশদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্যের কেন্দ্র ছিল। কনকলতা এই আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।
আক্রমণটি সফল হয়েছিল, কিন্তু কনকলতা গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারে ব্রিটিশরা তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছিল। কিন্তু কনকলতা কোনো তথ্য স্বীকার করেননি। অবশেষে ১৯৩২ সালের ১৩ই অক্টোবর তিনি শহীদ হন।
আজ আমরা স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করছি কারণ কনকলতার মতো বিপ্লবীরা তাদের জীবন দিয়েছেন। তাই আসুন আমরা তাদের ত্যাগের কথা মনে রাখি এবং আমাদের দেশকে আরও ভালো করার জন্য কাজ করি। কনকলতার জীবনী আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করুক।