কুন্ডলি ভাগ্য: প্রীতা আর শ্রীষ্টির অসাধারন পথচলা




একটা সময় ছিল যখন একটা সাধারণ মেয়ে প্রীতা এবং তার ছোট বোন শ্রীষ্টির জীবন খুবই সাধারণ ছিল। কিন্তু ভাগ্য তাদের জন্য একটা অসাধারণ পথচলা রেখে দিয়েছিল। একদিন, তাদের জীবন একেবারেই বদলে যায় যখন তাদের মা সরলা জানতে পারেন যে তাদের বাবা একটা দুর্ঘটনায় জীবন হারিয়েছেন।

এই দুঃখজনক ঘটনার পর, দুই বোন কি করবে তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যায়। তাদের কাছে কোনো আশ্রয় বা আর্থিক সুরক্ষা নেই। কিন্তু প্রীতা তার ছোট বোনের যত্ন নেওয়ার জন্য দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ ছিল।

তারা তাদের শহর ছেড়ে দিল এবং হায়দরাবাদে চলে গেল, যেখানে তারা তাদের মায়ের মতো একটা চাকরির খোঁজ করতে শুরু করল। কিন্তু তাদের কোনো কাজ পাওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়াল কারণ তাদের শিক্ষাও ছিল সীমিত এবং অভিজ্ঞতাও ছিল না।

নিরাশ হওয়ার বদলে, প্রীতা একটি ছোট্ট দোকান শুরু করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে, ব্যবসাটা খুব একটা ভালো যাচ্ছিল না। কিন্তু প্রীতার অধ্যবসায় এবং শ্রীষ্টির সাহায্যে, তারা ধীরে ধীরে কাস্টমারদের মন জয় করতে শুরু করে।

একদিন, একটি গাড়ি তাদের দোকানের সামনে এসে থামে এবং একজন ধনী ও মার্জিত ব্যক্তি গাড়ি থেকে বের হয়। তার নাম ছিল করণ লুথরা। প্রীতা এবং শ্রীষ্টি তার সৌন্দর্য এবং স্বভাব দ্বারা মুগ্ধ হয়।

করণ তাদের দোকান থেকে কিছু জিনিস কেনে এবং প্রীতার সঙ্গে একটু গল্প করার পরে, তাদের দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যায়। প্রীতা এবং শ্রীষ্টি ভেবেছিল যে, এটা আর কখনো হবে না। কিন্তু কয়েকদিন পরে, করণ আবার দোকানে ফিরে আসে।

এভাবে, প্রীতার আর শ্রীষ্টির জীবনে করণের আগমন ঘটে। কিন্তু তাদের জীবন সুখময় পথচলায় ছিল না। তাদের বিরুদ্ধে অনেক বাধা এবং চ্যালেঞ্জ এসেছিল। কিন্তু প্রীতার অটল সংকল্প এবং শ্রীষ্টির অবিচল সমর্থন তাদের প্রতিটি বাধা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে।

আজ, প্রীতা এবং শ্রীষ্টি ভারতের সবচেয়ে সফল উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন। তাদের গল্প অন্যদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণ করার জন্য অনুপ্রাণিত করার একটি অনুস্মারক।