কেন রামনবমী পালন করা হয়?




হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের নবম তিথিতে রামনবমী উদযাপন করা হয়। এই দিনটিকে ভক্তরা শ্রী রামচন্দ্রের জন্মদিন হিসেবে বিশ্বাস করেন।

রামচন্দ্রের জন্মকাহিনী

  • প্রাচীন হিন্দু মহাকাব্য রামায়ণ অনুযায়ী, রামচন্দ্র অযোধ্যা রাজ্যের রাজা দশরথ এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী কৌশল্যার পুত্র ছিলেন।
  • দশরথ ছিলেন একজন নিঃসন্তান রাজা। তিনি তার রাজ্যের সমৃদ্ধির জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন।
  • তিনি বশিষ্ঠ ঋষির পরামর্শে পুত্রলাভের জন্য পুত্রেষ্টি যজ্ঞ করেন।
  • যজ্ঞের ফলে দেবতা ইন্দ্র একটি রূপোর পাত্রে অমৃত পাঠান।
  • দশরথ অমৃত তাঁর তিন স্ত্রীর মধ্যে বিতরণ করেন। কৌশল্যা, সুমিত্রা এবং কৈকেয়ী এই অমৃত পান করেন।
  • পুরাণ মতে, কৌশল্যা অমৃতের অর্ধেক রঘুকে দেন, যিনি সুমিত্রার পুত্র লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম দেন।
  • এইভাবে, রামনবমীতে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবম তিথিতে ভগবান রামচন্দ্র অযোধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন।

রামনবমী উদযাপন

রামনবমী হল হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই দিনে ভক্তরা রাম মন্দিরে জড়ো হন এবং রামচন্দ্রের মূর্তি পূজা করেন।

  • তারা মন্দিরে ভজন এবং কীর্তন করেন।
  • কিছু ভক্ত রামনবমীতে উপবাস করেন।
  • অনেকে এই দিনে বিশেষ খাবার তৈরি করেন এবং ভক্তদের বিতরণ করেন।
  • রামনবমীর সন্ধ্যায়, লোকেরা তাদের ঘর এবং মন্দিরগুলিকে প্রদীপ এবং আলো দিয়ে সাজান।

রামনবমীর তাৎপর্য

রামনবমী হল ভালোর বিরুদ্ধে মন্দের বিজয়ের উদযাপন। রামচন্দ্র ভগবান বিষ্ণুর অবতার ছিলেন এবং তিনি দানব রাজ রাবণকে বধ করেছিলেন।

রামনবমী ভক্তদের জন্য রামচন্দ্রের আদর্শ অনুসরণ করার জন্য একটি অনুস্মারক। এটি তাদের ধার্মিকতা, সততা এবং সাহসের গুরুত্ব স্মরণ করিয়ে দেয়।

রামনবমী হল হিন্দুদের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র উৎসব, যা ভক্তদের অনুপ্রেরণা দেয় এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়নে সহায়তা করে।