কেবল প্রেমের জন্য
কেয়ার্তির চিত্রনাট্যের শুরুটা খুব রঙ্গিন। “ন্যাকের প্রেমে”, ক্যাপশনযুক্ত কিছু খুশির ছবি তিনি তার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন । আনন্দবাজার পত্রিকার খবর অনুযায়ী, এই মধুর প্রেমিক দম্পতি একটি ঐতিহ্যবাহী ‘আয়ঙ্গার’ রীতিমতো সাতটি পাকে আবদ্ধ হয়েছেন। চেন্নাইয়ের মুখ্যমন্ত্রী তিনি নন বটে, তবে তামিলনাড়ুর সবচেয়ে প্রিয়তম আয়ঙ্গার বধূ তিনি এখন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে তাঁর ছবির বন্যা।
অনিল সাচদেভের “ফোনেপুথুরু” এবং তা থেকে অনুপ্রাণিত “রাজা রানী” থেকে শুরু করে, অভিনেত্রীদের বাস্তব জীবনের বর জীবনেই সাধারণ মেয়েতে পরিণত হওয়ার একটি ইতিহাস রয়েছে। কেয়ার্তি সুরেশও সেই পথেই পা দিয়েছেন। তাঁর স্বামীও ‘সাধারণ’ হতে পারেন, কিন্তু তাঁর উপার্জন অসাধারণ। কেয়ার্তির স্বামী অ্যান্টনি টেথিল দুবাইয়ে বসবাসকারী একজন ধনী ব্যবসায়ী। তিনি একাধিক সংস্থার মালিক। তা ছাড়া একাধিক ভাষায় তাঁর দক্ষতা রয়েছে।
অ্যান্টনির "স্যান্ড্রা এলএলসি" নামে একটি মার্কেটিং সংস্থা রয়েছে। তিনি মাসকট হোল্ডিংসের সহ-মালিক এবং সুমুখ গ্লোবাল ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের পরিচালন পরিচালক। আপনি যদি ভাবেন যে কেয়ার্তির স্বামী এইটুকুতেই সীমাবদ্ধ, তাহলে আপনি ভুল করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তিনি একটি রেস্তরাঁ ব্যবসারও মালিক।
তাহলে, কেয়ার্তির “য্যাকার প্রেমে” তিনি অমন একজন মানুষকেই পেয়েছেন, তাঁকে নিয়ে মাতামাতি করার মতো যথেষ্ট কারণ রয়েছে, তাই নয় কি? তাঁরা যে অনেকদিন ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন, তা কিন্তু বেশ আগে থেকেই বোঝা গেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে অ্যান্টনির সঙ্গে তাঁর বাগদানের খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে এ নিয়ে অনেক জল ঘুরে গিয়েছে। কেয়ার্তি সুরেশ ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছেন। এই সময় তাঁকে অনেক গুঞ্জনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, এবং অনেক কিছুই শুনতে হয়েছে। কিন্তু সত্যি কি তিনি নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খুব একটা সোচ্চার হয়েছেন? না, এমনটা বলা যাবে না। এমনকী, তাঁর স্বামী কী করেন, কোথা থেকে এলেন, সে সম্পর্কেও, এতদিন পর্যন্ত কেয়ার্তি কখনও মুখ খোলেননি।
অ্যান্টনিও তাঁর স্ত্রীর কেরিয়ারে কতটা সমর্থক, এবং কীভাবে তাঁরা দু'জনের সম্পর্কের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলছেন, এসবই তিনি খুব ভালোভাবে জানেন। যদিও, তাঁরা কীভাবে দেখা করেছিলেন এবং তাঁদের প্রেম কীভাবে শুরু হয়েছিল, এ নিয়ে দু'জনেই এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি। তবে যতটুকু জানা গেছে, অ্যান্টনি কেয়ার্তির ভক্ত ছিলেন, আর তাঁর সিনেমা নিয়েই নাকি তাঁদের প্রথম দেখা হয়। মজার কী, এই জুটিটি অ্যান্টনির ষষ্ঠ অনুধাবনে বিশ্বাসী, এবং তাই তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার জন্য ৬ ডিসেম্বরের তারিখটি বেছে নেন।
কেয়ার্তির এই সুন্দর রূপটি দেখে মনে হচ্ছে, তিনি তাঁর জীবনের এটি সবচেয়ে সুখের দিনে রয়েছেন এবং সত্যিই তিনি যথেষ্ট আশীর্বাদপ্রাপ্ত। যদিও তিনি ইতিমধ্যেই তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করতে শুরু করেছেন, তবে তাঁর স্বামীর ব্যক্তিগত জীবন কি এখনও ধোঁয়াশাচ্ছন্ন? কেয়ার্তি সুরেশ এবং অ্যান্টনি টেথিলের বিয়ের খবর সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে আগ্রহ দেখা দিচ্ছে, তা থেকে স্পষ্ট যে তাঁরা এখন শুধুমাত্র দক্ষিণ ভারতেরই নয়, বরং গোটা দেশেরই প্রিয় জুটি। তাঁদের এই যাত্রা যেন সুন্দর ও আনন্দে ভরা হয়, সেই প্রার্থনা।