কবে যাবে মিসোর ক্যাফে?
এমন কোনো ব্যাঙ্গালি হবেন না যাঁর কানে "মিসোর ক্যাফে"র নাম পৌঁছয়নি। এটা যেন আমাদের সংস্কৃতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছোট্টবেলা থেকে মিসোর ক্যাফের নামটি শুনে আসছি। তবে কখনও সেখানে খেতে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।
একদিন সহকর্মীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। তারা মিসোর ক্যাফের খুব প্রশংসা করছিলেন। বলছিলেন, "শহরের সবচেয়ে সুস্বাদু ডোসা পাওয়া যায় ওখানে।" তাদের কথা শুনে আমারও জল মুখে এসে গেল। মনে মনে ভাবলাম, এবার তো যেমন করেই হোক মিসোর ক্যাফে যেতে হবে।
আর দেরি করলাম না। পরের সপ্তাহান্তেই চলে গেলাম মিসোর ক্যাফে। প্রবেশ করতেই একটা বিশাল হল চোখে পড়ল। লোকে লোকারণ্য। পুরো হলটা যেন ডোসার ঘ্রাণে ভরে উঠেছে। আমি এবং আমার সহকর্মীরা গিয়ে একটা টেবিল খালি দেখে বসলাম।
ওয়েটার এসে অর্ডার নিলেন। আমি অবশ্যই একটা মাসালা ডোসা অর্ডার করলাম। কয়েক মিনিট পরেই ডোসা এসে পৌঁছে গেল। ডোসাটা দেখতে এতো সুন্দর ছিল যে, খেতেই মন চাইল না। তবে ডোসা ঠান্ডা হয়ে যেতে দেওয়াটাও ঠিক উচিত হতো না। তাই কয়েকটা কামড় দিতেই বুঝে গেলাম, সত্যিই যে ভালো ডোসা বানায় মিসোর ক্যাফে! ডোসাটা ক্রিসপি ছিল, আলুর ভর্তাটাও ছিল খুব টেস্টি। সঙ্গে সাম্বার ও চাটনি ছিলই।
ডোসা খেয়ে আমার পেট ভরে গেল বটে, তবে মনটা তৃপ্ত হল না। মনে হল, আমাকে আবারও মিসোর ক্যাফে আসতে হবে। এবার একবার ইডলি খেয়ে দেখতে হবে। তবে ইডলি খাওয়ার আগে কবে যে আবার মিসোর ক্যাফেতে যাওয়া হয়ে ওঠে, সেটা এখনই বলা কঠিন।