কীভাবে অ্যামিট পাঙ্গল বক্সিং রিং ও তার বাইরে দুই জগতেই চ্যাম্পিয়ন হন
বক্সিং রিংয়ে অ্যামিট পাঙ্গল একজন দুর্ধর্ষ শক্তি।
তিনি 2018 সালের কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয় করেন এবং 2019 সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রূপোপদক জয় করেন। তিনি বক্সিংয়ের বাইরেও একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্ব।
পাঙ্গল হরিয়ানার রোহটকের একজন কৃষক পরিবারের সন্তান। তিনি ছোটবেলা থেকেই খেলাধুলায় পারদর্শী ছিলেন। তিনি স্কুলে দৌড় এবং কুস্তি উভয়ই অনুশীলন করতেন। তবে তিনি যখন মাত্র ১২ বছর বয়সী ছিলেন, তখন বক্সিংয়ের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয়।
পাঙ্গল তার প্রথম বক্সিং প্রতিযোগিতায় প্রবেশ করেন যখন তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়সী ছিলেন। তিনি প্রতিযোগিতাটি জিতেছিলেন এবং তার জয়ের পর থেকে বক্সিংয়ের প্রতি তার প্রেম ক্রমেই বাড়তে থাকে।
পাঙ্গল তার বক্সিং দক্ষতা উন্নত করার জন্য অনেক পরিশ্রম করেন। তিনি প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা অনুশীলন করতেন এবং তার প্রযুক্তি এবং শক্তি উভয়ই উন্নত করার জন্য তিনি সবসময় নতুন উপায় খুঁজছিলেন।
পাঙ্গলের কঠোর পরিশ্রম ফল দেয় যখন তিনি 2018 সালের কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। এই জয়ের পর তিনি বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেন এবং তিনি ভারতের অন্যতম সেরা বক্সার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন।
কমনওয়েলথ গেমসের স্বর্ণপদক জয়ের পর পাঙ্গল তার সাফল্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি 2019 সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে রূপোপদক জিতেছিলেন এবং তিনি বর্তমানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জন্য তৈরি হচ্ছেন।
বক্সিং রিংয়ে অ্যামিট পাঙ্গলের সাফল্যের গল্প একটি অনুপ্রেরণার কাহিনী। এটি দেখায় যে কঠোর পরিশ্রম, উৎসর্গ এবং আত্মবিশ্বাস দিয়ে যে কেউ তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারে।
পাঙ্গল শুধুমাত্র একজন সফল বক্সার নন, তিনি একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ব্যক্তিত্বও। তিনি সর্বদা নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার এবং তার সীমা অতিক্রম করার ইচ্ছুক। তিনি ভারতের উদীয়মান তারকা এবং তিনি নিশ্চয়ই ভবিষ্যতে আরও অনেক সাফল্য অর্জন করবেন।