কিভাবে ইউক্রেন যুদ্ধ ভারতকে প্রভাবিত করছে




ইউক্রেনে যুদ্ধ মূল্যবৃদ্ধি এবং জ্বালানি ঘাটতির কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিকে প্রভাবিত করছে৷ যুদ্ধ আরও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সংকট সৃষ্টি করেছে।
যুদ্ধের ভারতের উপরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়েছে, যা ভারতের মতো তেল আমদানিকারক দেশগুলির জন্য জ্বালানি আমদানি ব্যয় বাড়িয়েছে। এর ফলে জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি বেড়েছে এবং মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতের খাদ্য সুরক্ষায়ও ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ইউক্রেন এবং রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম গম রফতানিকারকদের মধ্যে অন্যতম, এবং যুদ্ধের ফলে সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে গমের দাম বেড়েছে এবং ভারতের মতো গম আমদানি-নির্ভর দেশগুলির জন্য খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে।
যুদ্ধের ফলে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও বেড়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে এবং এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করেছে যেখানে ভারতের মতো দেশগুলির জন্য নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা কঠিন।
যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে শরণার্থী সংকটও সৃষ্টি হয়েছে। ইউক্রেন থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ পালিয়ে গেছে এবং ভারত জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার আবেদনে বিদেশি জাতীয়তার দশ হাজারেরও বেশি শরণার্থীদের ভিসা দিয়েছে।
যুদ্ধের ভারতের উপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব অজানা। যুদ্ধের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং মানবিক প্রভাব চলতে থাকবে।
ভারত কি করতে পারে?
ভারত যুদ্ধের প্রভাব মোকাবেলা করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। এটি জ্বালানি নিরাপত্তা জোরদার করতে পারে, বিকল্প জ্বালানি উৎস অন্বেষণ করতে পারে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কৃষি খাতে বিনিয়োগ করতে পারে। ভারত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা কমানোর জন্যও কাজ করতে পারে এবং শরণার্থী সংকট মোকাবেলা করতে আন্তর্জাতিক সমাজের সাথে সহযোগিতা করতে পারে।