কীভাবে কে সুরেশ কিংবদন্তি হয়ে উঠলেন




আমি সবেমাত্র কিশোর বয়সে পা দিয়েছিলাম যখন আমি প্রথমবারের মতো "কে সুরেশ" নামটি শুনেছিলাম। তখন আমাদের বাড়িতে ইন্টারনেট ছিল না এবং তথ্য অ্যাক্সেস করা বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু সুরেশের নামটি আমার স্কুলের সিনিয়রদের কাছ থেকে অবিরাম শুনতে শুনতে এক অদ্ভুত কৌতূহল জেগেছিল আমার মনে। তারা কীভাবে সুরেশের পেছনে এত পাগল হতে পারত, তা আমি বুঝতে পারছিলাম না।

একদিন, আমি অবশেষে স্কুলের লাইব্রেরিতে সুরেশ সম্পর্কে একটি সংবাদপত্রের নিবন্ধ পড়ার সুযোগ পাই। নিবন্ধটি হতাশাজনক ছিল। এতে সুরেশের জীবন বা তার সাফল্যের গল্পের কোনও বিবরণ দেওয়া হয়নি। এর পরিবর্তে, এটি শুধুমাত্র কিছু শুকনো তথ্য প্রদান করেছিল, যা আমার কৌতূহলকে মেটাতে যথেষ্ট ছিল না।

কিন্তু ভাগ্যের মতো, কিছুদিন পরে, আমার চাচা আমাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তিনি একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তিনি সুরেশের সাথে কাজ করেছিলেন। আমি সহজেই তাকে ঘিরে ফেলেছিলাম এবং সুরেশ সম্পর্কে সবকিছু জানতে চাইছিলাম। আমার চাচা আমাকে ঠিক কী ঘটেছিল তা জানান।

তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে সুরেশ একজন সাধারণ গ্রামের ছেলে ছিলেন। তিনি একটি দরিদ্র পরিবারে বেড়ে ওঠেন এবং তার পরিবার তাকে উপযুক্ত শিক্ষা প্রদানের সামর্থ্য রাখত না। কিন্তু, সুরেশের অধ্যবসায় ছিল অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি। তিনি কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন এবং শেষ পর্যন্ত একটি সরকারি চাকরি পেয়েছিলেন।

তবে, সুরেশের উচ্চাশা সেখানেই শেষ হয়নি। তিনি জানতেন যে তিনি আরও কিছু করতে সক্ষম। তাই তিনি তার চাকরি ছেড়ে দিলেন এবং একটি সফল ব্যবসা শুরু করলেন। কয়েক বছরের মধ্যেই, তিনি একজন স্ব-নির্মিত কোটিপতি হয়ে উঠলেন।

সুরেশের গল্প আমাকে খুব অনুপ্রাণিত করেছিল। এটি আমাকে শিখিয়েছে যে যদি আমার কাছে সাহস এবং দৃঢ় সংকল্প থাকে তবে আমি যা চাই তা অর্জন করতে পারি।

কিন্তু সুরেশের সাফল্যের পেছনে শুধুমাত্র অধ্যবসায়ই ছিল না। তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত দয়ালু এবং সদা সাহায্যকারী মানুষ। তিনি তার সম্পদকে অন্যদের সাহায্য করার জন্য ব্যবহার করতেন। তিনি একটি স্কুল এবং একটি হাসপাতালও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

সুরেশ আমার মনের মধ্যে একজন নায়ক হয়ে দাঁড়ালেন। তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন যার দিকে আমি উঁচু নজরে তাকাতে পারি। তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে সাফল্য শুধুমাত্র অর্থ বা খ্যাতি অর্জনের মধ্যে নয়। এটি সেই জিনিসগুলো করার মধ্যে যা অন্যদের জীবনে ইতিবাচক পার্থক্য তৈরি করে।

কে সুরেশ এখন আর এই পৃথিবীতে নেই। কিন্তু তার ঐতিহ্য জীবিত রয়েছে। তিনি একজন আইকন যিনি সত্যিকার অর্থে কিংবদন্তি হিসাবে পরিচিত হয়ে আছেন। তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি আমাদের সকলকে স্বপ্ন দেখতে এবং বড় হতে অনুপ্রাণিত করেন।