কিভাবে বুড়ো বয়সেও সুস্থ থাকবেন!




বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীরের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোও বদলে যেতে থাকে। এই বদলগুলোকে স্বীকার করে সুস্থ থাকাটা বেশ জরুরি। কারণ, সুস্থ থাকলেই আমরা জীবনের পূর্ণতা উপভোগ করতে পারি! তাই আজ আমরা জানব কিভাবে বুড়ো বয়সে নিজেদের সুস্থ রাখা যায়।
শরীরচর্চা করুন
শরীরচর্চা শুধু বাচ্চাদের জন্য নয়। বুড়ো বয়সেও শরীরচর্চা করার অসংখ্য উপকারিতা আছে। শরীরচর্চা মেদ ঝরায়, রক্তচাপ কমায়, হাড় মজবুত করে, আরো অনেক কিছুর পাশাপাশি। শুরুতে হালকা শরীরচর্চা থেকেই শুরু করুন, যেমন হাঁটা বা সাঁতার কাটা। আস্তে আস্তে নিজের সহ্যশক্তি অনুযায়ী শরীরচর্চার তীব্রতা বাড়ান।

কিন্তু শরীরচর্চা শুরু করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। বিশেষত, হাঁপানি বা হৃদরোগ আছে এমন ব্যক্তিদের।

সুষম খাদ্য খান
বুড়ো বয়সেও সুস্থ থাকার জন্য সুষম খাদ্য খাওয়াটা খুব জরুরি। সবজি, ফলমূল, আস্ত শস্য আর অল্প পরিমাণে মাংস খান। চিনি, লবণ আর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।

আরো বেশি পানি পান করুন
আমরা অনেক সময়ই পানি কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা ভুলে যাই। পানি আমাদের শরীরের জন্য খুবই জরুরি। বুড়ো বয়সে, আমাদের শরীর আর আগের মতো তেষ্টার অনুভূতি হয় না। তাই, দিনের বেশিরভাগ সময়ই আমরা ডিহাইড্রেটেড থাকি। আপনার কাছে সবসময় পানি রাখুন আর প্রায়ই পান করুন।
ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন
ধূমপান ও মদ্যপান আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এগুলো ক্যান্সার, হৃদরোগ আর অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। যদি আপনি ধূমপান করেন বা মদ্যপান করেন, তাহলে এখনই তা ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।
যথেষ্ট ঘুমাবেন
বুড়ো বয়সে যথেষ্ট ঘুমাবাটা খুবই জরুরি। ঘুমের সময় আমাদের শরীর নিজেকে রিপেয়ার করে। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়।
সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকুন
সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকাটা বুড়ো বয়সেও সুস্থ থাকার জন্য খুবই জরুরি। সামাজিকভাবে সংযুক্ত থাকা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে, স্ট্রেস কমায় আর জীবনের মান উন্নত করে। তাই, নিয়মিতভাবে আপনার বন্ধুদের আর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করুন। সামাজিক কাজে অংশ নিন আর নতুন মানুষের সাথে দেখা করার চেষ্টা করুন।
একটি লক্ষ্য খুঁজুন
একটি লক্ষ্য থাকাটা বুড়ো বয়সেও সুস্থ থাকার জন্য খুবই জরুরি। একটি লক্ষ্য আমাদেরকে উদ্দেশ্যবোধ দিয়ে থাকে আর জীবনে অর্থপূর্ণতা নিয়ে আসে। আপনার যেই বিষয়গুলো পছন্দ, সেগুলোই আপনার লক্ষ্য হতে পারে। যেমন, স্বেচ্ছাসেবা করা, একটি নতুন দক্ষতা শেখা বা একটি বই লেখা।
আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত দেখা করুন
বুড়ো বয়সে, আপনার ডাক্তারের সাথে নিয়মিত দেখা করাটা খুবই জরুরি। এটি আপনাকে সুস্থ থাকতে আর অসুখ ব্যাধিগুলোকে আগে থেকে শনাক্ত এবং চিকিৎসা করতে সাহায্য করবে।
নিজের যত্ন নিন
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটা হল, বুড়ো বয়সে নিজের যত্ন নেওয়া। এর মানে শুধু শারীরিক যত্ন নয়, মানসিক আর আবেগীয় যত্নও। নিজের যত্ন নেওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় হল, এমন কাজগুলো করা যা আপনাকে খুশি করে।

এছাড়া, বুড়ো বয়সের চ্যালেঞ্জগুলো মেনে নিলে আপনার সুস্থ থাকাটা আরো সহজ হবে। বুড়ো বয়সের সাথে কিছু শারীরিক পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এই পরিবর্তনগুলো আপনাকে সুস্থ থাকা থেকে বিরত রাখবে না। শুধু আপনার জীবনধারায় কিছু ছোটখাটো পরিবর্তন করুন আর আপনি বুড়ো বয়সেও সুস্থ আর সুখী থাকতে পারবেন।