যখন আমি আমার টিভি স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, ভারতীয় নারী দল যেমন পাকিস্তানী বোলিং আক্রমণকে ছিঁড়ে ফেলছিল, তেমনি একটি অনুভূতি আমার মধ্যে জাগলো, যা আগে কখনও হয়নি। আমি গর্ববোধ করছিলাম না, বা উত্তেজিত ছিলাম না। আমি কেবল অবিশ্বাস্য হয়ে গেলাম।
কিছু মাস আগেও, আমরা ভেবেছিলাম যে পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের মেয়েরা এইভাবে খেলতে সক্ষম হবে না। তাদের ব্যাটারদের আধিপত্য এবং তাদের বোলারদের গতি আমাদেরকে ভয় দেখিয়েছিল। কিন্তু আজ রাতে, সবকিছুই বদলে গেল।
আমাদের মেয়েরা পাকিস্তানী বোলিং আক্রমণকে ছিন্নভিন্ন করে দিল। শাফালি ভাগতের আক্রমণাত্মক স্ট্রোক এবং জেমিমাহ রড্রিগেজের অনুগত ব্যাটিং আমাদেরকে একটি দুর্দান্ত শুরু দিয়েছে। এরপর, হরমনপ্রীত কৌর এবং দীপ্তি শর্মার কীর্তিসম্পন্ন পার্টনারশিপ আমাদেরকে বিশ্রামস্থলে নিয়ে গেছে।
যেখানে আমাদের ব্যাটাররা অসাধারণ ছিল, সেখানে আমাদের বোলাররাও কম ছিল না। পূজা বস্ত্রাকর, রেণুকা সিংহ এবং শিকা পান্ডে তাদের গতি এবং নির্ভুলতা দিয়ে পাকিস্তানী ব্যাটারদের বিরক্ত করে রেখেছিল। দীপ্তি শর্মার অসাধারণ লেগ স্পিনেও আমরা অনেক উইকেট পেয়েছি।
ম্যাচের শেষ ওভারে যখন পাকিস্তান জয়ের জন্য ছয় রানের প্রয়োজন ছিল, তখন পূজা বস্ত্রাকর তার সাহস দেখিয়েছিলেন। তিনি সাহসিকভাবে তার বল ছুঁড়েছিলেন, এবং তৃতীয় বলে একজন ব্যাটারকে বোল্ড করেছিলেন, যা আমাদেরকে রোমাঞ্চকর জয়ে নিয়ে গেছে।
আজ রাতের জয়টি কেবল একটি জয় নয়। এটি আমাদের মেয়েদের দৃঢ়তানির একটি প্রমাণ, যারা নিজেদেরকে বিশ্বের সেরা দল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আমরা আজ তাদের প্রচেষ্টার জন্য তাদের অভিনন্দন জানাই, এবং তাদের ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা করি।