কিভাবে CUET PG পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করা যায়




CUET PG পরীক্ষায় অনেক ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্য অর্জন করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করে এই পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।

সঠিক পরিকল্পনা

যে কোনো পরীক্ষার জন্য সবার প্রথমে সঠিক পরিকল্পনা করাটা দরকার। এই পরিকল্পনাতে কীভাবে, কতটা, কোন সময়ে পড়তে হবে সেগুলো স্পষ্টভাবে লেখা থাকবে। এই পরিকল্পনাটা অনুসরণ করতে পারলে পরীক্ষার সময়ে আর স্ট্রেস নিতে হবে না।

সিলেবাস বুঝে নেওয়া

যে কোনো বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়ার আগে সিলেবাসটা ভালোভাবে বুঝে নেওয়া জরুরি। কারণ, সিলেবাস না বুঝে এলোপাতাড়ি পড়লে পরীক্ষার সময়ে কোনটা পড়তে হবে, কোনটা পড়তে হবে না সেটা নিয়ে কনফিউশন হতে পারে।

সময় মতো পড়া শুরু করা

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সময়মতো পড়া শুরু করা। কেউ কেউ আছে যারা পরীক্ষার কয়েকদিন আগে পড়া শুরু করে। কিন্তু এর ফলে তারা যে ভালোভাবে পড়তে পারে না এটা সবারই জানা কথা। ফলে পরীক্ষার সময়ে ভালো রেজাল্ট করতে পারে না তারা। তাই সময় মতো পড়া শুরু করলে পরীক্ষার সময়ে আর স্ট্রেস নিতে হয় না। তখন শুধুমাত্র রিভিশন দিয়ে পরীক্ষা দেওয়াটা সহজ হয়ে যায়।

শিডিউল মেনে পড়া

পরিকল্পনা করার পর তা ঠিকমতো মেনে চলাটাও জরুরি। অনেকেই আছেন যারা পরিকল্পনা করেন কিন্তু তা ঠিকমতো মেনে চলতে পারেন না। ফলে পরীক্ষার সময়ে তারা সবকিছু পড়তে পারেন না। তাই পরীক্ষার জন্য পড়ার সময় সিডিউল মেনে পড়াটা খুবই জরুরি।

নোট তৈরি করা

পড়াশোনার সময় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করতে হবে। এতে পরীক্ষার আগে রিভিশন করতে সুবিধা হয়। এছাড়াও পড়াশোনা মনে রাখতে এটা খুবই কার্যকরী।

টেস্ট দেওয়া

পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র সমাধান করতে যাওয়ার আগে টেস্ট দেওয়াটা খুবই জরুরি। এতে নিজের প্রস্তুতি কেমন এটা বোঝা যায়। এছাড়াও টেস্ট দিলে প্রশ্নপত্র সমাধান করার জন্য কতটা সময় লাগবে এটাও বোঝা যায়।

রিভিশন করা

পরীক্ষার আগে পড়াশোনা শেষ হলেও রিভিশন করাটা খুবই জরুরি। কারণ, পড়াশোনা করে অনেক দিন হয়ে গেলে অনেক কিছুই মনে থাকে না। রিভিশন করলে পড়াশোনাটা মনে রাখতে সুবিধা হয়।

শরীর আর মনকে সুস্থ রাখা

অনেক সময়ই দেখা যায় যে, পরীক্ষার জন্য পড়াশোনার চাপ অনেকেই নিতে পারেন না। ফলে শরীর বা মন কোনো একটি কিংবা দুটিই খারাপ হয়ে যায়। তাই পরীক্ষার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি শরীর আর মনকেও সুস্থ রাখাটা খুবই জরুরি।