কেমন হবে এইবারের স্বাধীনতা দিবস?




১৪ই আগস্ট, স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি জাতীয় দিবস। এই দিনে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। প্রতি বছরই এই দিনটি জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হয়। তবে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে গত দুই বছর ধরে স্বাধীনতা দিবস তেমনভাবে উদযাপন করা যায়নি। এবার কি স্বাধীনতা দিবস স্বাভাবিকভাবে উদযাপন করা যাবে? স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে কী পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের?

সরকারের পরিকল্পনা

সরকার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সারাদেশে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার, বর্ণাঢ্য প্যারেড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। রাজধানী ঢাকায় সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে পতাকা উত্তোলন ও গার্ড অব অনার অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন তিনি।

স্বাধীনতা দিবসের আবেগ

স্বাধীনতা দিবস শুধু একটি জাতীয় ছুটির দিন নয়। এটি বাঙালি জাতির জন্য গর্ব ও আনন্দের একটি দিন। এই দিনটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের স্বাধীনতার মূল্য অনুধাবন করিয়ে দেয়।

এই দিনটিতে আমরা সবাই বাংলাদেশি হিসেবে গর্ববোধ করি। আমাদের জাতীয় পতাকাকে শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের জাতীয় সঙ্গীত গাই। আমাদের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মরণ করি।

এবারের স্বাধীনতা দিবস

এবারের স্বাধীনতা দিবস স্বাভাবিকভাবে উদযাপন করা যাবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারী এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের নির্দেশ দিয়েছে।

যদিও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমেছে, তবুও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিলে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

কীভাবে উদযাপন করবেন?

আপনি কীভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবেন, তা আপনার ইচ্ছের ওপর নির্ভর করে। আপনি যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিতে না চান, তাহলে আপনি বাড়িতেই স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করতে পারেন। আপনি টেলিভিশনে জাতীয় প্যারেড দেখতে পারেন। আপনি সংবাদপত্রে স্বাধীনতা দিবস সম্পর্কিত প্রবন্ধ পড়তে পারেন। আপনি স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দেওয়া শহীদদের স্মরণে নিজের ঘরে মোমবাতি জ্বালাতে পারেন।

আপনি যদি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক হন, তাহলে আপনি স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন। তবে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। আপনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গার্ড অব অনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন।

যাই হোক না কেন, স্বাধীনতা দিবসটি পূর্ণ আনন্দ ও উৎসাহের সাথে উদযাপন করুন। এই দিনটিকে মনে রাখার জন্য আপনার নিজের উপায় তৈরি করুন।

বিশেষ কিছু করুন

এই স্বাধীনতা দিবসটিকে বিশেষ কিছু করার মাধ্যমে স্মরণীয় করে তুলুন। আপনি কিছু দান করতে পারেন। আপনি কোনও অনাথ আশ্রমে বা বৃদ্ধাশ্রমে সময় দিতে পারেন। আপনি কোনো সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করতে পারেন।

আমাদের স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করেছেন এবং তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের কথা স্মরণ করার এটি একটি দুর্দান্ত উপায়।

শেষ কথা

স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এটি এমন একটি দিন যা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মনে করিয়ে দেয়। আমাদের স্বাধীনতার মূল্য অনুধাবন করিয়ে দেয়।

আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যারা তাদের জীবন নিবেদন করেছেন, তাদের কথা স্মরণ করার এটি একটি দিন। আমাদের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য যারা কাজ করছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এটি একটি দিন।

এই স্বাধীনতা দিবসটিকে দেশপ্রেম, সহযোগিতা ও আনন্দের আত্মার সাথে উদযাপন করি।