কুমারী সেলজা: একজন স
কুমারী সেলজা: একজন সক্রিয় ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব
সমাজে বিভিন্নভাবে পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন মহিলা। শিক্ষায়, কর্মক্ষেত্রে ও রাজনীতিতে মহিলাদের অবদান উল্লেখযোগ্য। রাজনীতিকে পুরুষের একচেটিয়া আখ্যা দিয়ে আসা ধারণাকে ভেঙেছেন অগণিত মহিলা নেত্রী। এই মহিলাদের মধ্যে অন্যতম হলেন কুমারী সেলজা।
1962 সালের 24 সেপ্টেম্বর চণ্ডীগড়ে জন্ম নেওয়া কুমারী সেলজা প্রথমবার 1991 সালে সিরসা থেকে দশম লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তিনি একাধিকবার জয়ী হয়েছেন। তিনি কংগ্রেস দলের সদস্য এবং হরিয়ানার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডার স্ত্রী।
কুমারী সেলজা তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি কেন্দ্রীয় শহুরী উন্নয়ন এবং দারিদ্র্য দূরীকরণ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রীও ছিলেন। বর্তমানে তিনি কংগ্রেস দলের সর্বভারতীয় মহাসচিব এবং দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটির সদস্য।
একজন সক্রিয় ও দায়িত্বশীল নেতৃত্ব হিসাবে কুমারী সেলজা সর্বদা মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকার চেষ্টা করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে নেতা এবং মানুষের মধ্যে সম্পর্ক হল দ্বিমুখী। মানুষের সমস্যা শোনা এবং তাদের সমাধানের চেষ্টা করা নেতার দায়িত্ব। তিনি বলেন, "আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য মানুষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
তার দায়িত্বশীলতা এবং নিষ্ঠার জন্য কুমারী সেলজা মানুষের মধ্যে জনপ্রিয়। তিনি সর্বদা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর তুলেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা যে কোনো সরকারের ভিত্তি হওয়া উচিত।
কুমারী সেলজা মহিলাদের ক্ষমতায়নের অন্যতম প্রবক্তা। তিনি বিশ্বাস করেন যে মহিলারা সমাজের অংশীদার হিসেবে সমান অধিকার এবং সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। তিনি বলেন, "আমাদের মেয়েদের শিক্ষা এবং স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। তাদের কণ্ঠস্বর এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়াও গুরুত্বপূর্ণ।"
কুমারী সেলজা একজন সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল নেতা যিনি দেশ এবং জনগণের জন্য নিজেকে নিবেদিত করেছেন। তিনি একজন প্রেরণা, যিনি প্রমাণ করেছেন যে মহিলারাও রাজনীতিতে সফল হতে পারেন এবং পরিবর্তন আনতে পারেন।