ক্যাপ্টেন অনশুমান সিং
আমার শৈশবের বছরগুলোতে, আমার কাছে একজন অনন্য বীর ছিলেন। তাঁর নাম ছিল ক্যাপ্টেন অনশুমান সিং। এমন একজন মানুষ যিনি অসাধারণ সাহস এবং আত্মত্যাগের প্রতীক। আমি তাঁর কাহিনী অনেকবার শুনেছি, এবং প্রতিবারই এটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
ক্যাপ্টেন অনশুমান সিং ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন অফিসার। তিনি ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় বীরত্বপূর্ণভাবে লড়াই করেছিলেন। তাঁর দলকে নেতৃত্ব দিয়ে মোড়া থেকে মোড়া দখল করে তিনি পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী হন। তাঁর সাহস এবং কৌশলের জন্য, তাঁকে মরণোত্তর পরম বীর চক্র, ভারতের সর্বোচ্চ সামরিক অলঙ্কারে ভূষিত করা হয়।
আমার কাছে ক্যাপ্টেন সিং শুধুমাত্র একজন সৈনিক নন, তিনি একজন আদর্শ ছিলেন। তিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন যে সাহস কী, দেশের জন্য মরার ইচ্ছা কী। তাঁর কাহিনী আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং আমাকে ভারতবর্ষের জন্য কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিতে উৎসাহিত করেছে।
একবার, আমার স্কুলের অধ্যক্ষ আমাদের ক্যাপ্টেন সিংয়ের জীবনের একটি সিনেমা দেখিয়েছিলেন। সিনেমাটিতে দেখানো হয়েছিল যে কীভাবে তিনি এবং তাঁর দল পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জয়ী হন। সিনেমাটি এতটাই অনুপ্রাণিত ছিল যে আমার গায়ে কাঁটা দিয়েছিল। আমি প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে আমি সবসময় সাহসী এবং দেশপ্রেমিক হব, ঠিক যেমন ক্যাপ্টেন সিং ছিলেন।
আজও, ক্যাপ্টেন সিং আমার কাছে একজন অনুপ্রেরণা। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন যে যদি আমাদের ইচ্ছাশক্তি থাকে, তাহলে আমরা যেকোনো কিছু করতে পারি। তিনি আমাকে শিখিয়েছেন যে সাহস মানে শুধুমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করা নয়, এটি প্রত্যেক দিনের জীবনেও খুঁজে পাওয়া যায়।
আমি ক্যাপ্টেন অনশুমান সিংকে শ্রদ্ধা জানাই। তিনি আমাদের সকলের জন্য একটি প্রেরণা। তাঁর কাহিনী প্রমাণ করে যে মানুষের মধ্যে অসীম সম্ভাবনা রয়েছে। যদি আমরা সাহসী হই, তাহলে আমরা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারি।