এর আগে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুতেই দুটি দুর্দান্ত স্পেল করেছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ। দিনের মাত্র ২৩ মিনিটের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ল অস্ট্রেলিয়ার। বুমরাহ পাওয়ার প্লেতেই ট্র্যাভিস হেডকে ফাঁদে ফেলেন। হেডের ওপেনিং জুটিদার ডেভিড ওয়ার্নারও দিনের শুরুতেই আউট হয়ে গেছেন। বুমরাহই তাকে এলবीडব্লিউ করেন। ইনিংসের শুরুতে দলকে ভাল সূচনা দিয়েছিলেন মার্নাস লাবুশেন। কিন্তু সেই ইনিংস বড় করতে পারেননি। সিরাজের বলের সামনে ৫২ রানেই থামলেন তিনি।
এরপর ক্রিজে এসে দলকে সংকট থেকে কিছুটা হলেও তুলেছিলেন স্মিথ। রেনশোর সাথে তিনি চতুর্থ উইকেটে মিলে জুটিয়েছেন ৮৪ রান। স্মিথ ব্যক্তিগত ৮১ রানে আউট হওয়ার আগে পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার রানের ইঞ্জিন ছিলেন। স্মিথ আউট হওয়ার পর রেনশোও বেশিক্ষণ খেলতে পারেননি। শেষদিকে ভাল ব্যাটিং করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। এখন তার ওপরই ইনিংস বাঁচানোর দায়িত্ব। আর ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ব্যাট করছেন নাথান লায়ন।
এর আগে প্রথম ইনিংসে অসাধারণ ব্যাটিং করেছিল ভারত। নিটিশ রেড্ডির অসাধারণ ইনিংসের সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৬৯ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ৩৬৯ রান করেছে তারা। অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাডেজার অভাবে ইনিংসের শেষদিকে একটু হিমশিমে পড়েছিল ভারত। যদিও আশ্বিন ব্যাট হাতে কাজটা সহজ করে দিয়েছেন। তিনি ১০ রানে করেন অপরাজিত ৩০ রান। ভারতীয় ইনিংসে রেড্ডি ছাড়া চেতেশ্বর পুজারাও করেন অর্ধশতক। তিনি করেন ৫৩ রান।
বিশ্বের অন্যতম সেরা দলকে পরাজিত করতে হলে শেষদিকে আক্রমণটা বজায় রাখতে হবে। ইন্ডিয়ার সামনে এই কঠিন চ্যালেঞ্জ।