আমরা যারা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করি, তাদের সবারই আইপিও বা ইনিশিয়্যাল পাবলিক অফারিং নিয়ে একটা উত্তেজনা রয়েছে। আর যখন আসে বাজারে ভালো কোনো প্রতিষ্ঠানের আইপিও, তখন সেই উত্তেজনা সেই অনেকগুণ বেড়ে যায়। তেমনই সম্প্রতি বাজারে এসেছে ক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেসের আইপিও। আর এই আইপিও যে বেশ সাড়া ফেলেছে, তা বোঝা যাচ্ছে এর জিএমপির হাল থেকেই।
জিএমপি কী?জিএমপি বা গ্রে মার্কেট প্রিমিয়াম হলো কোনো কোম্পানির আইপিও আনুষ্ঠানিকভাবে খোলার আগেই বাজারে সেই শেয়ারের যে প্রিমিয়াম প্রাইসে ক্রয়-বিক্রয় হয়। জিএমপি সেই শেয়ারের ডিমান্ড-সাপ্লাইয়ের একটি নির্দেশক। জিএমপি যদি বেশি হয়, তবে বোঝা যায় যে আইপিওটি বেশি সাবস্ক্রাইব হবে।
ক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেসের জিএমপিক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেসের আইপিও জিএমপি বেশ ভালোই রয়েছে। এর আইপিও প্রাইস ছিল ১৭৫ টাকা। কিন্তু জিএমপিতে এই শেয়ার প্রায় ২০৫-২১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র আইপিও থেকেই বিনিয়োগকারীরা প্রায় ১৭-২০ শতাংশ লাভের সম্ভাবনা দেখছেন।
ক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেসের ব্যবসাক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেস একটি স্পেশালিটি কেমিক্যালস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির প্রধানত দুটি ব্যবসায়িক সেগমেন্ট রয়েছে - ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অ্যাগ্রিকালচার। ফার্মাসিউটিক্যালস সেগমেন্টে প্রতিষ্ঠানটি অ্যান্টি-ক্যান্সার, অ্যান্টি-ইনফেক্টিভ এবং কার্ডিওভাস্কুলার ওষুধের জন্য অ্যাক্টিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) প্রস্তুত করে। অ্যাগ্রিকালচার সেগমেন্টে প্রতিষ্ঠানটি পেস্টিসাইডস, হার্বিসাইডস এবং ফার্টিলাইজারের মতো কৃষি রাসায়নিক পণ্য প্রস্তুত করে।
আইপিওর কারণক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেস এই আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ ব্যবহার করবে তার ক্যাপাসিটি বাড়ানো, নতুন পণ্য開發 এবং কর্জ পরিশোধ করার জন্য। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ভারতে এবং বিশ্বব্যাপী তার ব্যবসা প্রসারিত করা।
আইপিওর সুযোগ-সুবিধাক্রনক্স ল্যাব সায়েন্সেসের আইপিও একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগের সুযোগ হিসাবে দেখা যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির শক্তিশালী ব্যবসায়িক মডেল, ভালো জিএমপি এবং ভবিষ্যতের বৃদ্ধির সুযোগ বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। তবে, আইপিওতে বিনিয়োগ করার আগে বাজারের ঝুঁকি এবং প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ঝুঁকিগুলো বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।